
চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬২৭.৫৮ মিলিয়ন ডলার।
আগের বছর একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮০২.৮৭ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর রপ্তানি কমেছে ৪.৬১ শতাংশ।
একক মাস হিসেবে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের হিসেবে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর এই তিন মাস মিলে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ২৩১ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার কম। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস রপ্তানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ১৬৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
ইপিবির তথ্য বলছে, বরাবরের মতোই রপ্তানি আয়ে শীর্ষে রয়েছে পোশাক খাত। তবে গত মাসে পোশাক খাতের রপ্তানি কমে গেছে। যা প্রভাব ফেলেছে সামগ্রিক রপ্তানি আয়ে। গত সেপ্টেম্বরে পোষাক খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ২৮৩ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। যা ২০২৪ সালের একই সময়ের ছিল ৩০১ কোটি ১ লাখ ১০ হাজার ডলার।
তিন মাসে পোশাক পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৯৯৭ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এর আগের বছর ২০২৪ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে আয় হয়েছে ৯৫১ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার সমপরিমাণ পণ্য।
রপ্তানি আয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কৃষি পণ্য এবং এ খাতেও রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা দেখা গেছে। সেপ্টেম্বর মাসে কৃষি পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ১০ কোটি ১৯ লাখ ডলার। যা ২০২৪ সালে ছিল ১০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ রপ্তানি নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তৃতীয় স্থানে থাকা চামড়া ও চামড়া জাতীয় পণ্যে রপ্তানি বাবদ গত সেপ্টেম্বর মাসে আয় হয়েছে ৯ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। অর্থাৎ ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
রপ্তানি আয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা পাট ও পাট জাতীয় পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় এসেছে ৭ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের ছিল ৭ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার ডলার। অর্থাৎগত বছরের তুলায় ১ দশমিক শূণ্য ৪ শতাংশ কমেছে।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে গৃহস্থলী পণ্য খাত। এখাতে গত সেপ্টেম্বর মাসে পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার। অথাৎ শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে। তবে এই সময়ে প্রিন্টেড মেটারিয়ালস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোডাক্টস পণ্য রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ৫৭.৫০ এবং ৩৬.৪৩ শতাংশ।