
শাটডাউনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে বেশিরভাগ সরকারি দফতর। কৃষি, পরিবেশ, শিক্ষা, গবেষণাসহ অনেক দপ্তরের কাজ স্থগিত বা সীমিত হবে। খাদ্য নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হতে পারে। এছাড়া, হাজার হাজার সরকারী কর্মীও অবৈতনিক ছুটিতে থাকবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবছর শুরু হয় ১ অক্টোবর। সরকারের বিভিন্ন দফতরের কাজ চালানোর জন্য কংগ্রেসকে তহবিল বরাদ্দ করতে হয়। এবার নতুন বাজেট বা কন্টিনিউয়িং রেজলিউশন পাস হয়নি। সিনেটে যে ৬০ ভোট প্রয়োজন, তা মেলেনি।
এ কারণে সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ইতিহাস বলছে, ২০১৮-১৯ সালে ৩৫ দিনের শাটডাউন হয়েছিল। সেটাকেই সবচেয়ে দীর্ঘকালীন হিসেবে ধরা হয়।
শাটডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া বেশিরভাগ সরকারি দফতর বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, সীমান্ত নিরাপত্তাসহ কিছু প্রতিরক্ষা ইউনিট। এই দফতরের কর্মীরা কাজ চালিয়ে গেলেও, বেতন দেওয়া হবে পরে।
অন্যদিকে কৃষি, পরিবেশ, শিক্ষা, গবেষণাসহ অনেক দফতরের কাজ স্থগিত বা সীমিত হবে। খাদ্য নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হতে পারে। এতে প্রভাবিত হবে সাধারণ মানুষও।
ভিসা, ইমিগ্রেশন, পার্ক ও ফেডারেল গবেষণাসহ কিছু দফতরের সেবা সীমিত থাকবে। তবে বয়স্ক নাগরিক, প্রতিবন্ধী ও অন্যান্যদের সামাজিক নিরাপত্তা ও বেকারভাতার সুবিধা তহবিল থাকা পর্যন্ত চলবে। যদিও নতুন আবেদন বা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হতে পারে।
দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিও উত্তেজনাপূর্ণ। রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের দোষ দিচ্ছে, ডেমোক্র্যাটরা কিছু অনুদান ও স্বাস্থ্যসেবা ফেরত চাচ্ছে। কতদিন এ শাটডাউন চলবে, তা কংগ্রেসের আলোচনার ওপর নির্ভর করছে বলে মনে করছেন অনেকে।