
কর্মঘণ্টা বৃদ্ধির করে শ্রম আইন সংশোধনের সরকারি পরিকল্পনার প্রতিবাদে গ্রিসে দেশব্যাপী ধর্মঘট চলছে। এর ফলে গণপরিবহন অচল হয়ে পড়েছে এবং অন্যান্য সরকারি পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটের সময় রাজধানী অ্যাথেন্সে ট্যাক্সি এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ দেখা গেছে। বাস, পাতাল রেল, ট্রাম এবং ট্রলো পরিষেবাগুলোরও একই অবস্থা। সেই সঙ্গে বন্দরে ফেরি চলাচল করতে দেখা যায়নি।
সরকারি কর্মচারী এবং বেসরকারি খাতের কর্মীদের সংগঠনগুলোর ডাকা এই ধর্মঘটের ফলে স্কুল, আদালত, সরকারি হাসপাতাল ও পৌরসভাসহ অসংখ্য সরকারি পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
নতুন নিয়মের অধীনে ওভারটাইমসহ কর্মঘণ্টা প্রতি সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা করা হবে। আর প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১৫০ ঘণ্টা ওভারটাইম অনুমোদিত হবে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, পরিকল্পিত শ্রম আইন পরিবর্তনের প্রতিবাদে সংগঠনগুলোর ধর্মঘটের পদক্ষেপ সরকারের মধ্যে আরও নমনীয়তা আনতে পারে।
জেনারেল কনফেডারেশন অফ গ্রীক ওয়ার্কার্স (GSEE) এক বিবৃতিতে বলেছে, নতুন নিয়ম শ্রমিকদের নিয়োগকর্তাদের শ্রম নির্যাতনের ঝুঁকিতে ফেলবে। আমরা ১৩ ঘণ্টার শিফটকে না বলি। ক্লান্তি উন্নয়ন নয়, মানুষের সহনশীলতারও সীমা আছে।
জিএসইই বলেছে, ওভারটাইমসহ কর্মঘণ্টা সরকারের পদক্ষেপ ‘কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করবে এবং পেশাদার ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট করবে।
তাদের দাবি, সপ্তাহে সাড়ে ৩৭ ঘণ্টা কর্মঘণ্টা সঠিক। যৌথ দর কষাকষির মাধ্যমে অতীতে এই চুক্তি হয়েছিল এবং মানুষ এটিই ফিরে পেতে চায়।
তবে গ্রিসের রক্ষণশীল সরকার যুক্তি দিচ্ছে, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো সেইসব শ্রমিকদের জন্য উপকারী হবে, যারা আরও নমনীয় শ্রমবাজার চান – আরও বেশি কাজ করার বিকল্প চান। এর ফলে কর্মীরা বেতনের ৪০ শতাংশ ওভারটাইম পেমেন্ট পাওয়ার সুযোগ পাবে।