
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার জবাব দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসকে তিন থেকে চার দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন।
হামাস পরিকল্পনা মেনে না নিলে পরিণতি খুবই দুঃখজনক হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিযাহুর সঙ্গে বৈঠকের পর তার শান্তি পরিকল্পনা বিস্তারিত প্রকাশ করেন।
এদিন হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, হামাস শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করলে তিনি ইসরায়েলকে যা করার তা করতে পূর্ণ সমর্থন দেবেন।
মঙ্গলবার ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের লনে তার শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, “আমরা কেবল হামাসের জন্য অপেক্ষা করে আছি।”
পরিকল্পনায় সব আরব দেশ এবং মুসলিম দেশ সই করেছে। ইসরায়েলও সই করেছে বলে জানান ট্রাম্প।
তিনি বলেন, হামাস এই পরিকল্পনায় তাদের জবাব জানানোর জন্য তিন-চার দিন সময় পাবে। তারা যদি পরিকল্পনাটি সই না করে তাহলে পরিণতি হবে খুবই দুঃখজনক।
ট্রাম্প বলেন, হামাস অনেক বড় মূল্য দিয়েছে। তিনটি ভিন্ন সময়ে তাদের নেতারা নিহত হয়েছেন। আমরা হামাসের কাছ থেকে অবিলম্বে জিম্মিদেরকে ফেরত চাই এবং তাদের কাছ থেকে ভাল আচরণ চাই।
ভার্জিনিয়ায় কোয়ান্টিকোর মঞ্চে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, এই ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা খুবই চমৎকার। সবাই একসঙ্গে মিলে এই পরিকল্পনা হয়েছে। এটি কাজ করে গেলে তা হবে ‘এ প্লাস’।
এই পরিকল্পনায় গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়াও জিম্মিদের ফেরত আনা এবং যুদ্ধপরবর্তী গাজার শাসনভার চালাতে সহায়তা করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক‘বোর্ড অব পিস’ গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবটি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পড়ে দেখছে। বিবিসি’র মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা বলেছেন, পরিকল্পনার বিষয়ে হামাসের জবাব দিতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনায় কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ফিলিস্তিনের আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি বিশ্বাসযোগ্য পথ তৈরির কথা বলা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল এর বিপক্ষে।