
চলতি মাসের ১৯ তারিখ সিঙ্গাপুরে স্কুবা ড্রাইভিংয়ে নেমে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ। তার মৃত্যুর পর থমকে গেছে আসাম রাজ্যের ব্যস্ততা। গায়কের মৃত্যুর দশদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অনুরাগী-ভক্তদের হৃদয়ে চলমান শোকের মাতম। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই আসামের গুয়াহাটিতে জুবিনের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন।
সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রতি সম্মান জানিয়ে তার জীবনী আসামের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসাম বিদ্যালয় শিক্ষা পরিষদ। জুবিনের বাসভবন কাহিলিপাড়ায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুবিন গার্গের জীবনী আধুনিক ভারতীয় ভাষা (এমআইএল) পাঠ্যক্রমে ১৪টি প্রধান ভারতীয় ভাষায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ফলে আসামসহ গোটা ভারতের শিক্ষার্থীরা জুবিনের জীবনযাত্রা, শিল্পীসত্তা এবং মানবতার দর্শনের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।
এদিকে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে, জুবিনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের সেন্টার ফর পারফরর্মিং আর্টস অ্যান্ড কালচারের নাম পরিবর্তন করে জুবিন গার্গের নামে রাখার হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে জুবিনের একটি মূর্তি স্থাপন করা হবে এবং তার সংগীত জীবন ও সাফল্য নিয়ে একটি কফি টেবিল বই প্রকাশ করা হবে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং নতুন শিল্পীদের উৎসাহিত করবে।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃকলেজ যুব উৎসবে নতুন বিভাগ ‘জুবিনের গান’ চালু করা হবে।
প্রসঙ্গত, নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জুবিন। সেখানে গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্কুবা ড্রাইভিংয়ে করার সময় আহত হন। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর, গুয়াহাটির কামারকুচি এনসি গ্রামে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। সোনাপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জুবিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। প্রয়াত গায়ককে ১০ বিঘা জমিতে সমাধিস্থ করা হয়েছে।
গায়কের মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে তাকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে জুবিনের সহকারী এবং ব্যান্ড দলের ড্রামার শেখরজ্যোতি গোস্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।