
লাদাখে জেন-জি বিক্ষোভের পর সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুকের গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের শীর্ষ দুই নেতা। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সোনমকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। সেই সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি মেহবুবা মুফতিও একই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ইন্ডিয়া ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অন্যসারে, মেহবুবা মুফতি এক্স-পোস্টে বলেছেন, সোনম ওয়াংচুকের গ্রেপ্তার গভীরভাবে বিরক্তিকর। শান্তি, স্থায়িত্ব এবং সত্যের আজীবন প্রবক্তাকে কেবল প্রতিশ্রুতি রক্ষার দাবি জানানোয় শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আজ লেহে কারফিউ জারি, ইন্টারনেট বন্ধ – কাশ্মীর দীর্ঘদিন ধরে যা সহ্য করে আসছে তারই প্রতিধ্বনি। আজকের ভারতে ক্ষমতার সামনে সত্য কথা বলার জন্য অনেক মূল্য দিতে হয়, নাহলে কীভাবে একজন মানুষ, যিনি সারা জীবন শান্তি ও অহিংসার পক্ষে ছিলেন – তিনি কারাগারে থাকতে পারেন?’
গত বুধবার লাদাখের লেহ শহরে বিক্ষোভের সময় ‘সহিংসতা উস্কে দেওয়ার’ অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরাসরি সোনম ওয়াংচুককে দোষারোপ করেন। এর দুই দিন পর শুক্রবার বিকেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা, ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তি এবং ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্র রক্ষার দাবিতে ১০ সেপ্টেম্বর অনশনে যোগ দিয়েছিলেন সোনম ওয়াংচুক।
২৪ সেপ্টেম্বর লেহ শহরে নজিরবিহীন সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে; জনতা নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং বিজেপির স্থানীয় কার্যালয়ের আগুন দেয়। তরুণ-জনতার এই বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রসহ ৪ জন নিহত হলে সোনম ওয়াংচুক অনশন ভাঙেন।
কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এতে চারজন বিক্ষোভকারী নিহতের পাশাপাশি ৭০ জন আহত হয়। শনিবার লেহ শহরে টানা তৃতীয় দিনের মতো কারফিউ অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর কার্গিল শহরেও কারফিউ জারি করা হয়। এরপর শুক্রবার লাদাখ অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।