
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্ত্রী কিম কেওন হি’কে ঘুষ এবং মজুদ কারসাজির অভিযোগে দক্ষিণ সিউলের সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হাজির করা হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত আগস্টে গ্রেপ্তারের পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে উপস্থিত করা হয় কিম কেওন হি। আদালতে সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে তিনি জুরির পরিবর্তে বিচারকের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
একজন প্রসিকিউটর কিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বর্ণনা দিয়েছেন। এই অভিযোগের মধ্যে রয়েছে স্টক কারসাজি, ক্ষমতাধর দালালকে মুক্ত মতামত জরিপ পরিচালনা করতে বলে রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন চার্চ থেকে ঘুষ গ্রহণ।
কিমের আইনজীবীরা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, প্রসিকিউটররা যথাযথ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তবে যে কোনো অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে কিমকে জরিমানা থেকে শুরু করে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে।
একজন যাজকের কাছ থেকে ডিওর ব্যাগ গ্রহণ করার গোপন ভিডিও প্রকাশ্যে আসলে বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনা তার স্বামীর প্রেসিডেন্সিকেও ছাপিয়ে যায়।
গত ডিসেম্বরে আকস্মিক সামরিক আইন ঘোষণার ফলে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়। বিদ্রোহের জন্য ইউনের পৃথকভাবে বিচার চলছে এবং গত জুলাই মাস থেকে তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
সরকারি আইনজীবীদের তথ্য অনুসারে, গির্জা থেকে কিমকে দুটি শ্যানেল ব্যাগ, একটি গ্রাফ নেকলেস এবং একটি কোরিয়ান জিনসেং উপহার সেট দেওয়া হয়েছে। এর মোট মূল্য প্রায় ৮০ মিলিয়ন ওন।
যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন চার্চের প্রধান হান হাক-জাক হান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এসব ‘মিথ্যা তথ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫০-এর দশকে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু মুনের প্রতিষ্ঠিত এবং গণবিবাহের জন্য পরিচিত এই গির্জাটি তহবিল সংগ্রহ ও অন্যান্য বিষয়ের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।