
প্রতারণার অভিযোগে ঢাকায় গ্রেফতার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার চুক্তিভিত্তিক এজেন্ট পরিচয়দানকারী এনায়েত করিম চৌধুরী ওরফে মাসুদ করিমের ওরফে করিমের বিষয়ে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অ্যাসিস্ট্যান্ট লিগ্যাল অ্যাটাশে রবার্ট ক্যামেরনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন।
বৈঠকের সূত্রগুলো বলছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এনায়েত করিমের আটক, মামলার তদন্তসহ ভবিষ্যৎ আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করেন। মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে এনায়েত করিমের জন্য কনস্যুলার অ্যাক্সেস চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিন্টো রোডের সামনে গাড়ি নিয়ে সন্দেহজনক ঘোরাফেরার সময় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এনায়েত করিম নিজেকে সিআইয়ের এজেন্ট দাবি করেন। পরে পুলিশ তাকে এবং তার সহযোগী এসএম গোলাম মোস্তফাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এনায়েত নিজেই সিআইয়ের জাল ডকুমেন্ট তৈরি করেছেন। সেগুলো তিনি ব্যবসায়ী, আমলা, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনদের দেখিয়ে সিআইয়ের বড় এজেন্ট বলে দাবি করতেন। স্ক্যান করা ডকুমেন্ট তিনি আবার কাউকে মোবাইলে পাঠাতেন। কেউ কেউ তার ফাঁদে পড়তেন। কোনো কোনো ব্যবসায়ী তার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এনায়েতের তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।