
গাজায় ধারাবাহিকভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের জাতীয় দল ও ক্লাব দলগুলোকে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। আগামীকাল নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব তোলা হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের চ্যানেল ১২। এই ভোটের ওপর নির্ভর করছে ইসরায়েলের ফুটবলের ভাগ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপা লিগে অংশ নেওয়া ম্যাকাবি তেল আবিবের মতো ক্লাবগুলো এবং ইউরোপীয় বাছাইপর্বে খেলা ইসরায়েলি জাতীয় দল নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে। কারণ, কাতারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দেশ উয়েফাকে এ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। কারণ, ইউরোপ ফুটবলের বেশির ভাগ স্পন্সরই আগে মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বহিষ্কারের আহ্বান জোরালো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলি দলের বিরুদ্ধে খেলতে অনীহা দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়াকে যেভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, অনেকে সেটির সঙ্গেই ইসরায়েলের তুলনা করছেন।
ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪১২ জন ফিলিস্তিনি ফুটবলার নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। এছাড়া গাজার ৯০ শতাংশ ক্রীড়া অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। এটিকে ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ বলে অভিযোগ করেছে ইয়েফা।
যদিও উয়েফা সভাপতি আলেকজান্ডার সেফেরিন আগেই জানিয়েছিলেন, খেলোয়াড়দের তাদের সরকারের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী করা উচিত নয়। তিনি রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার উদাহরণ টেনে বলেন, তিন বছর ধরে রাশিয়ান দলগুলো ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা থেকে বাদ থাকলেও যুদ্ধ শেষ হয়নি। এদিকে সাবেক ফরাসি তারকা এরিক ক্যান্টোনা উয়েফাকে সরাসরি ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সেপ্টেম্বরের সুপার কাপ ফাইনালে পিএসজি ও টটেনহ্যামের ম্যাচে ‘শিশুদের হত্যা বন্ধ করুন, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা বন্ধ করুন’ লেখা ব্যানার প্রদর্শিত হওয়ার পর থেকে এ বিতর্ক আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।