
গাজায় চলমান গণহত্যা এবং কাতারের দোহায় বিমান হামলার পর নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি সমর্থন জানাতে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। টাইমস অব ইসরেয়েলের প্রতিবেদন অনুসারে, রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলে নেমেই তিনি জেরুজালেমের পুরাতন শহরের ওয়েস্টার্ন ওয়ালে প্রার্থনা করেছেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, রুবিও, নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত একসঙ্গে ওয়েস্টার্ন ওয়ালে যান। তিন জনই দেয়ালের ফাটলের মধ্যে ‘নোট’ গুঁজে দেয়।
এরপর তাদের ওয়েস্টার্ন ওয়াল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সিইও মর্দেচাই সুলি এলিয়াভের নেতৃত্বে একটি প্রার্থনায় যোগ দিতে দেখা যায়।
এক প্রতিবেদনে এপি জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও যখন ইসরায়েলে পৌঁছান, তখন ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় আক্রমণ তীব্রতর করেছে। একাধিক উঁচু ভবন ধ্বংস করেছে এবং কমপক্ষে ১৩ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
রুবিও সফরের আগে বলেছিলেন, তিনি ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে উত্তর চাইবেন যে, তারা ‘গাজায় কীভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছে’।
গত সপ্তাহে কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের হামলা সংঘাত নিরসনে আরব নেতাদের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে এপি উল্লেখ করেছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দুই দিনের এই সফর ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্ন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের একটি প্রদর্শন। কারণ, জাতিসংঘ আগামী সপ্তাহে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে একটি বিতর্ক আয়োজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির তীব্র বিরোধিতা করেন।
এদিকে, দোহায় ইসরায়েলের অভূতপূর্ব আগ্রাসনের পর মুসলিম বিশ্বের নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে কাতার। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এই সম্মেলন থেকে ‘কাতার রাষ্ট্রের ওপর ইসরায়েলি আক্রমণের বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব’ আনা হবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, রোববার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে খসড়া প্রস্তুত করা হবে এবং সোমবারের সমাবেশে প্রস্তাবটি বিবেচনা করা হবে।
সরকারি কিউএনএ সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, এই শীর্ষ সম্মেলন হবে ইসরায়েলের কাপুরুষোচিত আগ্রাসনের মুখে কাতার রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যাপক আরব ও ইসলামী সংহতি এবং ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের স্পষ্ট প্রত্যাখ্যানের প্রতিফলন।