
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি স্কুলে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ১৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, রাজ্যের আরাকান আর্মি-নিয়ন্ত্রিত কিয়াউকতাও শহরের থায়াত তাবিন গ্রামে জান্তা বাহিনী একটি বেসরকারি বোর্ডিং স্কুলে বোমা হামলা চালায়।
২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মায়ানমার দীর্ঘস্থায়ী জাতিগত সশস্ত্র সংঘর্ষের সাক্ষী হয়ে উঠেছে। অস্থিরতায় হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জান্তা সরকার চলতি বছরের ২৮ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সশস্ত্র যোদ্ধারা এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, স্কুলে হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে বলেছে, রাতের বেলায় স্কুলে হামলার খবরে ইউনিসেফ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুদের হত্যা ও আহত করার খবর পাওয়া গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ হামলা রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান ভয়াবহ সহিংসতার এক নতুন রূপ যোগ করেছে, যার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে শিশু ও তাদের পরিবারগুলোকে। নিরলস আক্রমণগুলো সন্ত্রাসের বীজ বপন করছে, পরিবারগুলোকে উৎখাত করছে এবং তাদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে। শিশুরা তাদের ঘরবাড়ি, স্কুল এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে প্রাণ হারাচ্ছে, যেখানে তাদের সুরক্ষার কথা ছিল।
এতে আরও বলা হয়, ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি, রাখাইনজুড়ে পরিবারগুলো তীব্র দুর্দশার মুখোমুখি হচ্ছে, খাদ্য সরবরাহ হ্রাস পাচ্ছে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ জীবনধারা ভেঙে পড়ছে। শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। স্কুল, ছাত্রাবাস, ঘরবাড়ি এবং শিশুরা যে সকল প্রয়োজনীয় পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল, সেগুলো সর্বদা নিরাপদ রাখতে হবে। সংঘাতের পক্ষগুলোকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।