
ভারতে একজন শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার এবং আরও নয় জন গেরিলাকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভারতের একজন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
নকশাল বিদ্রোহের শেষ চিহ্নগুলোর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চালাচ্ছে ভারত সরকার। ১৯৬৭ সালে মুষ্টিমেয় গ্রামবাসী তাদের সামন্ত প্রভুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পর থেকে ১২ হাজারেরও বেশি বিদ্রোহী, সৈন্য এবং বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার বিবেকানন্দ সিনহা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওড়িশা এবং ছত্তিশগড় রাজ্যের মধ্যবর্তী বনাঞ্চলীয় সীমান্তে সর্বশেষ গোলাগুলি ঘটে।
বিবেকানন্দ বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে মোডেম বালকৃষ্ণ রয়েছেন, যিনি ওড়িশায় মাওবাদী সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আরও অনেক নামে পরিচিত ছিলেন।’
বালকৃষ্ণকে ধরার জন্য ১ লাখ ১৪ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামী বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে মাওবাদী বিদ্রোহ দমনের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি সর্বশেষ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছেন, ‘অবশিষ্ট নকশালদের সময়মতো আত্মসমর্পণ করা উচিত।’
বিদ্রোহীরা প্রায় এক তৃতীয়াংশ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে আছে। ২০০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আনুমানিক ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার যোদ্ধা ছিল।
ভারত সরকারের তথ্য অনুসারে, গত বছর থেকে ‘রেড করিডোর’জুড়ে ভারতীয় সেনাদের অভিযানে ৪০০ জনেরও বেশি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।
মে মাসে এই গোষ্ঠীর প্রধান নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসভরাজু আরও ২৬ জন গেরিলাসহ গুলিবিদ্ধ হন। এই সংঘাতে সরকারি বাহিনীর ওপর বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলাও দেখা গেছে। জানুয়ারিতে রাস্তার পাশে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে নয় জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়।