
এশিয়া কাপের চতুর্থ ম্যাচে আজ রাত সাড়ে ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে টুর্নামেন্টের নবীন দল ওমান আর অভিজ্ঞ ও ফর্মে থাকা পাকিস্তান। এই ম্যাচের আগে গ্রুপ ‘এ’-এর লড়াইয়ে ভারত তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে। পাকিস্তানও এবার সে রকম বড় জয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছে।
ওমানের জন্য এশিয়া কাপের মঞ্চ একেবারেই নতুন। তবে তাদের পথটা ছিল বেশ কণ্টকাকীর্ণ। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দল ভুগেছে বেতন বিতর্কে, ঝরে পড়েছে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ফলে এবারের স্কোয়াডে অর্ধেকের বেশি ক্রিকেটারই নতুন। ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে টানা তিন ম্যাচ হেরেছে দলটি। তারপর থেকে বড় কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচও খেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইটা তাদের জন্য পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ।
অন্যদিকে পাকিস্তান এশিয়া কাপে নামছে আস্থার পূর্ণ ঝুলি নিয়ে। সম্প্রতি আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে তারা। ফাইনালে জয় পেয়েই আসছে দুবাইতে। যদিও ব্যাটিংয়ের শুরুর দিকটা পাকিস্তানের জন্য চিন্তার, বিশেষ করে ওপেনার সাহেবজাদা ফারহানের ছোট ছোট ইনিংসগুলো এখনো বড় রানে রূপ নিতে পারেনি। ওমানের বিপক্ষে ম্যাচটা তাই হতে পারে তার জন্য শেষ সুযোগ, বড় ম্যাচের আগে নিজের আস্থা ফিরে পাওয়ার।
ওমানের ভরসা তাদের অধিনায়ক যতিন্দর সিং। এক দশক ধরে তিনি দলের ভরসাস্থল। বয়স ৩৬ হলেও এখনো দলের রান মেশিন তিনিই। ধীরগতির হলেও ব্যাট হাতে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলে দলকে প্রতিযোগিতামূলক রান এনে দিতে পারেন।
দুবাইয়ের উইকেটে সাধারণত স্পিনারদের ভূমিকা বড় থাকে। পাকিস্তান তাই সেদিকেই চোখ রাখছে। সুফিয়ান মুকিম আর আবরার আহমেদ-দুই রিস্ট স্পিনার খেলানোর কৌশল হয়তো আজই দেখা যেতে পারে, যা আসন্ন ভারত ম্যাচের প্রস্তুতির মতো হবে। তবে পাকিস্তানের জন্য সতর্কবার্তা আগেই জারি হয়ে আছে। গত বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে হেরে তারা বিদায় নিয়েছিল ভারতের বিপক্ষে নামার আগেই। তাই ওমানকে হালকাভাবে নেওয়ার ঝুঁকি তারা নেবে না। তিন ঘণ্টার খেলার মধ্যেই কয়েক মাসের প্রস্তুতি ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে-এ শিক্ষা পাকিস্তান খুব ভালোভাবেই জানে।
শেষ পর্যন্ত আজকের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে অভিজ্ঞতা আর স্বপ্নের লড়াই। এক পাশে শিরোপাধারী পাকিস্তান, অন্য পাশে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলতে নামা ওমান। ক্রিকেটে অঘটনের নামটাই যেহেতু ‘টি-টোয়েন্টি’, দর্শকরা হয়তো অপেক্ষা করবে নতুন কোনো রূপকথার জন্য।