
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত মূল সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে অজ্ঞাত সেই তরুণের ছবি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে দেখা যায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি মাথায় ক্যাপ, চোখে সানগ্লাস এবং কালো লম্বা হাতাওয়ালা পোশাক পরে আছেন। এই ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য এক লাখ মার্কিন ডলার (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ২১ লাখেরও বেশি টাকা) পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে একটি অনুষ্ঠানে চার্লিকে দূর থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেদিন দুপুরে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে সামাজিক ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ দূরের একটি ছাদ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কার্ক তার গলা চেপে ধরেন এবং চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক দর্শক চিৎকার করে পালিয়ে যান।
বন্দুকধারী গুলি করার পর ছাদ থেকে নেমে পাশের বনের ভেতর পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের কাছ থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একটি .৩০ ক্যালিবার বোল্ট-অ্যাকশন মাউজার রাইফেল উদ্ধার করে, যা একটি তোয়ালে দিয়ে মোড়ানো ছিল। অত্যাধুনিক অস্ত্রটির চেম্বারে একটি খালি কার্তুজ এবং ম্যাগাজিনে আরও তিনটি গুলি ভর্তি ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি হাতের তালুর ছাপ এবং জুতার ছাপও সংগ্রহ করেছে। অস্ত্র, গুলিসহ অন্যান্য প্রমাণ ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য ফেডারেল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ করে তদন্তকারীরা ধারণা করছেন যে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি কলেজ পড়ুয়া বয়সের হওয়ায় সহজেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিশে যেতে পেরেছিল। তবে তার পরিচয় বা এই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। এই ঘটনাকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং শীর্ষ অর্থনীতির দেশটিতে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ট্রাম্পসহ ডেমোক্র্যাট নেতারাও। ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে, চার্লি কার্ককে মরণোত্তর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম’ দেওয়া হবে।