
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন যে, কাতারের দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের চালানো হামলার কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি সংক্রান্ত আলোচনায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
দোহায় ইসরায়েলের এই হামলা গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ার ওপর কী প্রভাব ফেলবে— এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করি এটি এতে মোটেও প্রভাব ফেলবে না। আমরা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি চাই এবং আমরা তাদের খুব দ্রুত মুক্তি চাই। আশা করি এটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
তবে টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় জড়িত একজন আরব কূটনীতিক বলেছেন যে, দোহায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে সব ধরনের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা বন্ধ হয়ে গেছে। মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন যে, ট্রাম্প মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেন যে, হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করার সিদ্ধান্তটি বুদ্ধিমানের কাজ ছিল না। তিনি এই হামলার খবর শুনে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বলেও জানান। জবাবে নেতানিয়াহু বলেন যে, হামলা চালানোর জন্য তাদের খুব কম সময় ছিল এবং তারা সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন।
দোহায় ইসরায়েলের এই হামলার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। চীন ও রাশিয়াসহ বিশ্বের বহু দেশ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং আরব বিশ্বও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। এদিকে, ইসরায়েলের হামলার পর বিভিন্ন দেশের তীব্র নিন্দার মধ্যে কাতার একটি জরুরি আরব-ইসলামী শীর্ষ সম্মেলনের আহ্বান করেছে। আগামী রোববার ও সোমবার কাতারের রাজধানী দোহায় এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি