
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ব্যত্যয় হলে জাতির জন্য নেমে আসবে মহাবিপর্যয়।’
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন প্রেস সচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলেছেন—ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন হবে। এটি নিয়ে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ অঙ্গীকার আছে। কেউ ব্যত্যয় ঘটানোর চেষ্টা করলে, সেটি হবে জাতির জন্য চরম বিপর্যয়।’
বক্তব্যে প্রেস সচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন আমাদের ভবিষ্যতের জাতীয় নির্বাচনের একটি পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে যদি কিছু দুর্বলতা থেকেও থাকে, সেটি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আরও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।’
বিভিন্ন দলের বক্তব্য
বৈঠকে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের সদস্যরা। আলোচনায় উঠে আসে নির্বাচন, সংবিধান সংস্কার, মাঠপর্যায়ের অনিয়ম এবং ‘নোট অব ডিসেন্ট’-এর মীমাংসা প্রসঙ্গ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সংবিধান এখনই সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বর্তমানে গণতন্ত্র নিয়ে জাতির মধ্যে ঐকমত্য অনুপস্থিত। আলোচনার ধারা সুষ্ঠু না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো অর্জন থাকবে না।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি প্রশ্ন রাখেন, “যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত রয়েছে (‘নোট অব ডিসেন্ট’), সেগুলোর মীমাংসা কীভাবে হবে? জনগণই এর ফয়সালা করবেন।”
জামায়াতে ইসলামী নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “যদি উপাচার্যের সামনে কেউ টেবিল চাপড়াতে পারে, তবে ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের সামনে কেউ একইভাবে ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়ার সাহস পেতে পারে।”
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রশ্ন তোলেন, “নির্বাচনে সিসিটিভি স্থাপনে কমিশনের অনীহা কেন? সিসিটিভি থাকা উচিত। এটা স্বচ্ছতা নিশ্চিতের একটি মাধ্যম।”