
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সেবাস্তিয়ান লেকোর্নুকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ফ্রাঁসোয়া বাইরুর প্রধানমন্ত্রীত্ব চলে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে।
এলিসি প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন বাজেট পাস করানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করার দায়িত্ব লেকোর্নুকে দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ৪৪ বিলিয়ন ইউরো কাটছাঁটের সুপারিশ করার কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাইরুর পতন হয়। এর ফলে পার্লামেন্টে আস্থাভোটে তার পদচ্যুতি নিশ্চিত হলে তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ম্যাক্রোঁর প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাওয়া ৩৯ বছর বয়সী লেকোর্নু গত তিন বছর ধরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন দায়িত্বের বিষয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন যে, তাকে দেশের স্বাধীনতা ও শক্তি রক্ষা, জনগণের সেবা এবং রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দেশের ঋণ সংকট মোকাবিলা করা। চলতি বছর ফ্রান্সের সরকারি ঋণের পরিমাণ ৩.৩ ট্রিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে, যা দেশটির জিডিপির ১১৪ শতাংশ।
নতুন নিয়োগকে মধ্যপন্থী সহযোগীরা স্বাগত জানিয়েছেন। তবে চরম বামপন্থী ‘ফ্রান্স আনবাউড’-এর জ্যঁ লুক মেলঁশো বলেছেন যে, এবার ম্যাক্রোঁর বিদায় হওয়া উচিত। অন্যদিকে, কট্টর ডানপন্থী মেরিন ল্য পেন সমালোচনা করে বলেছেন যে, ম্যাক্রোঁ তার বিশ্বস্তদের নিয়ে ‘ম্যাক্রোঁবাদকে’ শেষ সুযোগ দিচ্ছেন।