
অবশেষে নেপাল থেকে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পা রাখেন ফুটবলার ও কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকেরাও একই ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন।
জেন জি আন্দোলনে নেপালে সরকার পতন হয়। কাঠমান্ডু জুড়ে জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে। এতে হোটেলে আটকা পড়েন খেলোয়াড়রা। এমনকি বাংলাদেশ ফুটবল দল কাঠমান্ডুতে যে হোটেলে ছিল তার পাশেও আগুন জ্বলছিল। এতে বেশ ভীত ছিলেন ফুটবলাররা দুই-তিন দিন হোটেল বন্দি থাকায় মানসিকভাবেও বেশ বিপর্যস্ত তারা।
তাই ফুটবলারদের ট্রমা কাটানোর বিষয়ে কাজ করবে বাফুফে। এ প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসার প্রক্রিয়া রয়েছে। সেখানে অবশ্যই আমরা মানসিক কোচিং, সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট দেবো যাদের প্রয়োজন হয়। যাদের লাগবে না তাদেরও আমরা অ্যাসেসমেন্ট করবো কারণ অনেক সময় এ রকম পরিস্থিতিতে ফিজিক্যাল শক হয়। আমরা এই বিষয়ে সচেতন রয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত ছিল ফুটবলারদের বিশেষভাবে চিকিৎসাজনিত কিছু প্রয়োজন হলে।’
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে কাঠমান্ডু গিয়েছিল। তবে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে নেপালে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হলে ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত ম্যাচটি বাতিল হয়। একই দিনে দলের দেশে ফেরার কথা থাকলেও ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় ফ্লাইট বাতিল হয় এবং খেলোয়াড়রা হোটেলে আটকা পড়েন।