
ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের কাছে অল্প সময়ের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ধনীর আসন হারানোর পর আবারও সেই অবস্থান ফিরে পেলেন ইলন মাস্ক। ওরাকলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো সেবার চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় শেয়ারের দাম দ্রুত বাড়ে এবং এর ফলে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) কয়েক ঘণ্টার জন্য এলিসন বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়ে ওঠেন।
ব্লুমবার্গের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওরাকলের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এলিসনের সম্পদ এক লাফে ৮৯ বিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮৩.২ বিলিয়ন ডলারে। একপর্যায়ে তার সম্পদ ১০১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, যা ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ সম্পদ বৃদ্ধির রেকর্ড।
বুধবার শেয়ারবাজারে ওরাকলের শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে এবং দিন শেষে ৩৬ শতাংশ উত্থান নিয়ে লেনদেন শেষ হয়। ১৯৯২ সালের পর থেকে এটি একদিনে সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি। শক্তিশালী আয়ের তথ্য এবং এআই-ভিত্তিক সেবার উচ্চ চাহিদা নিয়ে ইতিবাচক পূর্বাভাসই এই উত্থানের মূল কারণ। এর ফলে ওরাকলের বাজারমূল্য প্রায় ২৪৪ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৯২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। একই সঙ্গে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ তালিকায় প্রতিষ্ঠানটি ১৩তম থেকে ১০ম স্থানে উঠে আসে, যেখানে তারা এলি লিলি, ওয়ালমার্ট এবং জেপি মরগান চেসের মতো বড় প্রতিষ্ঠানকে পিছনে ফেলে।
ওরাকলের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত শেয়ারহোল্ডার হিসেবে এলিসন এই উত্থান থেকে ব্যাপক লাভবান হন এবং কয়েক ঘণ্টার জন্য বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে মাস্ককে ছাড়িয়ে যান। তবে বুধবার ট্রেডিং শেষ হওয়ার সময় মাস্ক আবারও শীর্ষে ফেরেন। তার সম্পদ দাঁড়ায় ৩৮৪.২ বিলিয়ন ডলার, যা এলিসনের তুলনায় ১ বিলিয়ন ডলার বেশি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে প্রথমবার বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির আসনে বসেন ইলন মাস্ক এবং তখন থেকে বেশিরভাগ সময় সেই অবস্থান ধরে রেখেছেন। তবে ২০২১ সালে ফরাসি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড এলভিএমএইচ প্রধান বার্নার্ড আর্নল্ট এবং ২০২৪ সালে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস তাকে অল্প সময়ের জন্য ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। গত বছর মাস্ক আবার শীর্ষে ফেরেন এবং টানা প্রায় ৩০০ দিনের বেশি সময় ধরে সেই অবস্থান ধরে রাখেন।
সূত্র: এনডিটিভি