
১৭ ঘণ্টার অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর কদমতলী থেকে অপহৃত ১২ বছরের এক মাদরাসাছাত্রকে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১০। এ ঘটনায় অপহরণকারী মোখলেসুর রহমান রাজুকে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব বলছে, শিশুটিকে মোবাইল গেম, চকলেট ও বেড়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে র্যাব-১০ এর সিপিসি-১ ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ক্যাম্পটির ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এস এম হাসান সিদ্দিকী সুমন।
তিনি বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কদমতলীর সাদ্দাম মার্কেট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় ১২ বছরের এক শিশু। পরদিন সকালে শিশুটির বাবার মোবাইলে অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল আসে এবং মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করা হয়। শিশুর পরিবারের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে ৪০ হাজার টাকা আদায়ও করে অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় পরিবার শিশুটির জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে র্যাব-১০ এর অধিনায়ককে অবহিত করে। এরপর দ্রুত তদন্তে নামে র্যাবের যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি বিশেষ টিম। পরবর্তীসময় র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় টানা ১৭ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াপদা কলোনির একটি ভাড়া বাসায় লুকিয়ে রাখা শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণকারী রাজুকে।
এস এম হাসান সিদ্দিকী সুমন আরও বলেন, অপহরণকারী রাজু শিশুটিকে মোবাইল গেম, চকলেট ও বেড়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। পরে একাধিক স্থানে স্থানান্তর করে পরিবারের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে এবং আরও মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে। শিশুটি ধীরে ধীরে বুঝতে পারে তাকে আটকে রাখা হয়েছে এবং ভীত হয়ে পড়ে।
অবশেষে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আটি ওয়াপদা কলোনী বউ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ভাড়া বাসা থেকে অপহৃত শিশুকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে অপহরণকারী মোখলেসুর রহমান রাজুকে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
হাসান সিদ্দিকী সুমন বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার রাজুর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছেন কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। এছাড়া উদ্ধার শিশু ও গ্রেপ্তার আসামিকে আইনগত ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।