Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English
খাঁটি সরিষার তেল খাচ্ছেন তো?
গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি, মশার বংশ বিস্তারও ব্যাপক
বদরুদ্দীন উমর আর নেই

গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি, মশার বংশ বিস্তারও ব্যাপক

গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি, মশার বংশ বিস্তারও ব্যাপক গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি, মশার বংশ বিস্তারও ব্যাপক
গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি, মশার বংশ বিস্তারও ব্যাপক


শহর থেকে গ্রামে এখন ব্যাপক হারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। এডিস মশা দুই ধরনের। কামড়ালে ডেঙ্গু হয়। একটা হলো এডিস এলবোপিকটাস। এটাকে জঙ্গলের মশা বলা হয়। আরেকটি হলো এডিস ইজিপটাই। শহরাঞ্চলে এ মশার প্রকোপ বেশি। তার পরও মশা মারার কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো না। বিশেষ করে মশক নিধন কার্যক্রম গ্রামাঞ্চলে চোখেই পড়ে না।

সম্প্রতি বরগুনায় একটা জরিপ করে আইইডিসিআর। মশার ঘনত্বের ওপরে পরীক্ষা করে জরিপে উঠে এসেছে, বরগুনা পৌরসভায় এডিস এলবোপিকটাস মশার ঘনত্ব ৪৭.১০। ঐ জেলার সদর উপজেলায় সূচকের মান ১৬৩.৪। তার মানে শহর থেকে একটু গ্রামে ভয়ংকর অবস্থা মশার বংশ বিস্তারে। সাধারণত সূচকের মান ২০ হলেই ধরা হয় মশার ভয়াবহ অবস্থা।

Advertisement

এদিকে সারা দেশে ডেঙ্গু নিয়ে সরকারি যে হিসাব, সেটা দেওয়া হয় সরকারি হাসপাতালের তথ্যের ভিত্তিতে। একাধিক সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এটা স্বীকার করেছেন। বেসরকারি হাসপাতালে কতজন ভর্তি হচ্ছে তার হিসাব নেই। তাদের মতে, গ্রামাঞ্চলে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার শহরের চেয়ে অনেক বেশি। কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি পৌরসভা ও আশপাশ এলাকায় এ পর্যন্ত আট জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছে কয়েক শ। প্রথমে মানুষ বুঝতে পারেনি কীভাবে মারা গেছে। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গু। এখানে ঘরে ঘরে মানুষের জ্বর।

আইসিডিডিআরবি,র বিজ্ঞানী ড. মো. সফিউল আলম গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত হার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলেন, উপজেলা শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিন্ডিংসহ আধুনিকতার ছাপ আছে। প্লাস্টিকের আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব সামগ্রীতে জমা পানি থেকে এডিস মশা বংশ বিস্তার করছে। শহর থেকে গ্রামে যাচ্ছেন মানুষ, তাদের ডেঙ্গু হয়। গ্রামে যে মশা কামড়ায় তার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন শহর থেকে গ্রামে যাতায়াত আছে। মশা নিধন ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিত্সা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার বলেন, দেশে দুটি মশা আছে। গ্রামাঞ্চলে এডিস এলবোপিকটাস মশা বেশি বংশ বিস্তার করে। আর সেখানে বংশ বিস্তারের সব ব্যবস্থা আছে। যেহেতু সূচকের মান ২০ হলে ভয়াবহ ধরা হয়, সেখানে ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটাকে ভয়ংকর অবস্থা বলা যায়।

বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, আসলে আমরা যাই বলি না কেন, মশার কামড়ে যে ডেঙ্গু হয় সেটা সবাই জানি। মশা নিধন করলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এটা গৃহপালিত মশা। দালানকোটাসহ আশপাশে এডিশ মশার জন্ম। এই পরিবেশ শহর ও গ্রামে আছে। শুধু সরকারকে দোষারোপ করে লাভ নেই। এই মশার বংশ বিস্তার ঠেকাতে হলে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।

ডেঙ্গুতে গতকাল দুই জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৯ :ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দুই জন মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা গেল ৪০ জন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৯ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৫৯ জনের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ছয় জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয় জন ও সিলেটে দুই জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৯ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ১৬২ জন। আর চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ২২২ জন। তাদের মধ্যে ৫২.৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৭.৪ শতাংশ নারী। ২০২৩ সালে সারা দেশে ডেঙ্গুতে ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। গত বছর অর্থাত্ ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫৭৫ জনের এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন।





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
খাঁটি সরিষার তেল খাচ্ছেন তো?

খাঁটি সরিষার তেল খাচ্ছেন তো?

Next Post
বদরুদ্দীন উমর আর নেই

বদরুদ্দীন উমর আর নেই

Advertisement