
ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মারজুক রাসেল। পর্দায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য দর্শকমহলে আলাদা খ্যাতি ও পরিচিতি রয়েছে তার। যেকোনো চরিত্রে ডুবে যান তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে একটু বেশিই পরিচিতি লাভ করেছেন। তা অবশ্য কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে পাশা চরিত্রে অভিনয় করে।
তবে তিনি শুধু একজন অভিনেতাই নন। একাধারে একজন কবি ও গীতিকারও মারজুক রাসেল। সব মাধ্যমে সমানভাবে কাজ করলেও তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে জানার কৌতূহল রয়েছে দর্শক ও ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের। বিশেষ করে কেন বিয়ে করছেন না তিনি, এ ব্যাপারে। আর গণমাধ্যমে এই প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন।
এ অভিনেতা বলেন, ‘জীবনে নারী সঙ্গীর প্রয়োজন নেই। ওইটা অটো থাকে। অটো ন্যাচার থাকে। আপনি একটি গাছকে কী বলবেন, গাছ তোমার নারী বা পুরুষসঙ্গী কে? কেননা, নারী ছাড়া জন্মাতে পারব না আমি। পুরুষও জন্মাতে পারবে না।’
মারজুক বলেন, ‘আসলে আমার কারও সঙ্গে টিউন হয়নি। এ কারণে বিয়ে করা হয়ে উঠেনি। প্রেমিকা ছিল, নাম জেরিন, যাকে নিয়ে সিনেমা-নাটক ও বিজ্ঞাপনও হয়েছে। এখন ফোন দেই না তাকে। তবে এখনো আছে, পৃথিবীতে থাকে। তার খোঁজ-খবর রাখছি, কিছুদিন আগে তার বাবা মারা গেছেন। সে ভালো থাকুক।’
এ সময় সবশেষ কবে প্রেমে পড়েছেন, তা নিয়েও কথা বলেন মারজুক রাসেল। বলেন, ‘আমি সবসময় প্রেমে থাকি। এখনো প্রেমেই আছি। একটা প্রেম থেকে আরেকটি প্রেমে যাওয়া যায় না। এটা সংখ্যাতেও হয় না। ঘটে যায়। সবারই ঘটে যায়। তবে যেটা ঘটানো হয়, সেটা অপ্রাকৃতিক।’
এছাড়া জেরিনের সঙ্গে প্রেমের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘একটু আগেও যা বলে এলাম, ওসব আমার ব্যক্তিজীবনের বাইরের বিষয় নয়। যাই হোক, ওইটা একতরফা ছিল, আমার তরফে, ওয়ান সাইডেড। কিশোরবেলায় প্রকৃতি আমারে দিয়া ওই পাগলামি করাইয়া নিছিল।’
মারজুক রাসেল বলেন, ‘দাম্পত্য আর সংসারজীবন এক নয়। একলাও সংসার করা যায়। কাজকর্মে দূরে একলা থাকলেও সংসারবিবাগী নই আমি। নানু, মা, বোন ও ভাইদের নিয়ে আমাদের সংসার। ১৯৯৬ সালেই প্রথম দাম্পত্যে জড়াতে চেষ্টা করেছি, ম্যাচ হয়নি। ম্যাচ না করলে সামাজিক আইন মেনে জোর করে ম্যাচ করাইয়া আজীবন বা বিচ্ছেদের পূর্বাপর ‘ক্যাচক্যাচ, ঘ্যাচঘ্যাচ’ কইরা যাওয়ায় আগ্রহী নই আমি। ইংরেজি ‘ম্যাচমেকিং’ শব্দবন্ধটা এ ক্ষেত্রে স্মরণীয়। ম্যাচ করে না।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘সৃজনশীল কাজের পরিবেশ, স্থান-কাল-পাত্র মিথের কারাগার থেকে অনেক আগেই আমি মুক্তি পাইছি। এখন যা কিছু লেখা হয়, সব অভ্যাসবশত অভিজ্ঞতা। রিয়েল ইভেন্ট, কল্পনা, আড্ডা, পাঠ, খাওন, ঘুম, গোসল, প্রেম প্রভৃতির অংশগ্রহণে।’