
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে যুদ্ধ বিভাগ বা ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর ফলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে বলে পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পেন্টাগনের অনেকেই সংস্থাটির পুনর্গঠনের বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে ‘হতাশা, ক্ষোভ এবং সম্পূর্ণ বিভ্রান্তি প্রকাশ করেছেন।’
পলিটিকো কর্মকর্তাদের উধ্বৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এ জন্য বিভিন্ন পরিবর্তন আনতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হতে পারে। কিন্তু এগুলো সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কী কাজে আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
একজন প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণরূপে দেশীয় রাজনৈতিক দর্শকদের জন্য। এতে কেবল লাখ লাখ ডলার খরচই হবে না; চীনা বা রাশিয়ান হিসাব-নিকাশের ওপর একেবারেই কোনো প্রভাব পড়বে না।’
কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, ‘আরও খারাপ, এটি আমাদের শত্রুরা যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধবাজ এবং আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে চিত্রিত করার জন্য ব্যবহার করবে।’
পলিটিকোর প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ৭ লাখেরও বেশি স্থাপনার প্রতিরক্ষা বিভাগের সিল পরিবর্তন করতে হতে পারে। ছয়টি সামরিক শাখা এবং আরও কয়েক ডজন সংস্থার লেটারহেড থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আনতে হবে।
পলিটিকো আরও উল্লেখ করেছে, আনুষ্ঠানিক নাম পরিবর্তনের জন্য সম্ভবত কংগ্রেসের পদক্ষেপের প্রয়োজন হবে। যদিও আলোচনার সঙ্গে পরিচিত একজন ব্যক্তি বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউস কংগ্রেসের ভোট এড়ানোর উপায় খুঁজেছে।’
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে ‘যুদ্ধ বিভাগ’ বলা হত। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কংগ্রেস সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীকে একীভূত করে। ইতিহাসবিদরা বলছেন, পারমাণবিক যুগে যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত প্রতিরোধের দিকে মনোনিবেশ করেছিল, তাই ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ’ নামটি বেছে নেওয়া হয়েছিল।
আবার নাম পরিবর্তন করা ব্যয়বহুল হবে এবং এর জন্য কেবল পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত সাইনবোর্ড ও লেটারহেডগুলোই নয় – বিশ্বজুড়ে সামরিক স্থাপনাগুলোতেও আপডেট আনতে হবে।