
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার গৃহহীন হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরেও যুক্তরাষ্ট্র জরুরি সাহায্য অনুমোদনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আদৌ সাহায্য করার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, তাও স্পষ্ট নয়।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স দুই প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা এবং পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র এবং প্রাক্তন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটিতে ওয়াশিংটনের প্রতিক্রিয়ার অভাবে এটি স্পষ্ট হয় যে, ট্রাম্প কীভাবে বৈদেশিক সহায়তা হ্রাস এবং প্রধান সহায়তা সংস্থা বন্ধ করে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগ-ত্রাণে মার্কিন নেতৃত্ব হারিয়েছেন।
তবে গত সোমবার এক্স-পোস্টে আফগানিস্তানের প্রতি ‘সমবেদনা’ প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। তবে শুক্রবার পর্যন্ত মানবিক প্রয়োজনের কোনো অনুমোদন ঘোষণা করেনি।
সাধারণত বড় ধরনের দুর্যোগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশটি সহায়তা ঘোষণা করে থাকে। সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা দুর্যোগ সহায়তার সুপারিশ নিয়ে বিবেচনা করেছেন। একজন প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, হোয়াইট হাউসও বিষয়টি বিবেচনা করেছে, তবে আফগানিস্তানে সহায়তা বন্ধের নীতি পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত রোববার ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়। এরপর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি, হাজার হাজার মানুষের প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে কোনো জরুরি সহায়তা দেবে কিনা, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের আর কিছু জানানোর নেই।’
ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়াদের জন্য ত্রাণ সরবরাহ করবে কিনা, জানতে চাইলে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জবাব দেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তালেবান সরকারের হাতে সাহায্য যাতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছেন, যারা মার্কিন নাগরিকদের অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে।’