
প্রথম ম্যাচে বড় হারের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও বড় হারের শঙ্কায় নেদারল্যান্ডস। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১০৩ রান করতে পেরেছে দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ৯ নাম্বারে ব্যাট করতে নামা আরিয়ান দত্ত, ওপেনার বিক্রমজিত সিং করেন ২৪ রান, শারিজ আহমেদ ১২। বাকী আট ব্যাটার এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে নাসুম নেন ৩ উইকেট এবং তাসকিন আর মোস্তিাফিজ নেন দুটি করে উইকেট।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবারও টস জিতে নেদারল্যান্ডসকে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে ১৪ রান সংগ্রহ করে ডাচরা।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই জোড়া উইকেট তুলে নেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। ১০ বলে ৮ রান করে ম্যাক্স ও’ডাউড ও রানের খাতা খোলার আগেই তেজা নিদামানারুকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
এরপর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ও বিক্রমজিত সিং মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তার আগেই ডাচ শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন। ১৭ বলে ২৪ রান করা বিক্রমজিতকে আউট করেন তিনি।
এরপর ইনিংসের ৯ নবম ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেটের দেখা পান পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এডওয়ার্ডকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ১১ বলে ৯ রান করেন ডাচ অধিনায়ক।
ডাচ ব্যাটসম্যান নোয়াহ ক্রসকে শর্ট মিডউইকেট থেকে সরাসরি থ্রোতে রানআউট করেছেন সাইফ হাসান। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে আউট ঘোষণা করেন টিভি আম্পায়ার সাথিরা জাকির। ৬১ রানে পঞ্চম উইকেট খোয়াল ডাচরা। তানজিম হাসানের করা ওভারের পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন শারিজ আহমেদ।
বাংলাদেশকে সপ্তম উইকেট এনে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সিকান্দার জুলফিকারকে বোল্ড করেছেন বাঁহাতি পেসার। বাংলাদেশকে অষ্টম উইকেট এনে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। কাইল ক্লাইনকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জাকের আলীর ক্যাচ বানিয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পেলেন তাসকিন।
পল ফন মিকেরেনকে এলবিডব্লু করে তৃতীয় উইকেট পেয়েছেন নাসুম আহমেদ। সর্বশেষ অফ স্পিনার মেহেদী হাসান যখন আরিয়ানকে বোল্ড করলেন ১৭.৩ ওভারে ডাচদের স্কোর ১০৩।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এত কম রানের লক্ষ্যে ছুঁতে নেমে কখনো হারেনি বাংলাদেশ। রান তাড়ায় বাংলাদেশ দুবার সর্বনিম্ন ১১৪ রান ছুঁতে পারেনি। দুটিই ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঘটনা, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।