
গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে আগামী ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিনিধিদল পাঠাবে ভারত। এর মধ্য দিয়ে সমালোচকদের চোখে ইতোমধ্যেই ‘প্রহসন’ হিসেবে পরিচিত এই নির্বাচনকে সমর্থন করল নয়াদিল্লি।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল রোববার মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং চীনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন। যদিও ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর থেকে বিদেশি নেতারা তাকে এড়িয়ে গেছেন।
রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার সংবাদপত্র জানিয়েছে, বৈঠকে তারা উভয় দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা, বাণিজ্য প্রচার, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।
নির্বাচনী জালিয়াতির অজুহাতে সাড়ে ৪ বছর আগে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির সরকারকে সেনাবাহিনী উৎখাত করার পর একটি ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
সামরিক প্রশাসন ২৮ ডিসেম্বর প্রথম সাধারণ নির্বাচনের প্রাথমিক পর্ব আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। দেশব্যাপী ৩০০টিরও বেশি নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে, যার মধ্যে বর্তমানে বিরোধী সশস্ত্র যোদ্ধাদের দখলে থাকা এলাকাগুলোও রয়েছে।
রোববার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘মোদি আশা করেন, মিয়ানমারের আসন্ন নির্বাচন সকল অংশীদারদের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।’
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৯টি দলকে দেশব্যাপী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিবন্ধন দিয়েছে সামরিক-সমর্থিত নির্বাচন কর্তৃপক্ষ।
তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকেই হয় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, নয়তো নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নির্বাচনকে সেনাশাসকদের ক্ষমতা আরও মজবুত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, সেনা শাসকরা নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে বিকল্প প্রতিনিধি বা প্রক্সিদের মাধ্যমে শাসনের পথ সুগম করতে চাইছে।