
এক বল থেকে সর্বোচ্চ ৬ রান নিতে পারেন ব্যাটার। ছয় বলে ছয় ছক্কা মারলে এক ওভারে হয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেটে দেখা গেছে এক ‘ভুতুড়ে’ ওভার। ঋষি ভারমান্নি নামের এক পেসার এক ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার আটলান্টা ফায়ারের মুখোমুখি হয় অরল্যান্ডো গ্যালাক্সি। অরল্যান্ডোর কোচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার শিবনারায়ণ চন্দরপল। তার দলের বোলার ঋষি ভারমান্নি এক ওভারে দেন ৪৩ রান।
প্রথম চার ওভার শেষে আটলান্টার রান ছিল বিনা উইকেটে ৩০। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে এলোমেলো বোলিংয়ের কারণে এক লাফে ৭৩ রানে পৌঁছে যায় আটলান্টা।
ভারমান্নি ওভারের প্রথম বলই করেন ‘নো’। পরের বল ‘ওয়াইড’। তৃতীয় চেষ্টায় যে ডেলিভারিটি দেন, ব্যাটার স্টিভেন টেলর সেটিকে উড়িয়ে পাঠান বাউন্ডারির বাইরে—ছক্কা। তবে এরমধ্যেই আম্পায়ার দেন ‘নো’ সংকেত।
ভারমান্নি তার চতুর্থ দৌড়ের বলটিও করেন ‘নো’। এই বলে টেলর ২ রান নেন। পঞ্চম বলে আবার ওয়াইড। ষষ্ঠ বল আবারও ‘নো’ করেন ভারমান্নি, যেটিতে ছক্কাও মারেন টেলর।
অর্থাৎ, পরপর ছয়টি বল করলেও ততক্ষণে একটি বৈধ বলও হয়নি ভারমান্নির। যদিও বেরিয়ে গেছে ২০ রান। ২৬ বছর বয়সী এই পেসারের ওভার কার্যত শুরু হয় সপ্তম ডেলিভারি থেকে। তবে এই বলও বাউন্ডারি থেকে রক্ষা পায়নি, হয় ওভারের তৃতীয় ছক্কা। পরের পাঁচ বল করতে অবশ্য বেশি বেগ পেতে হয়নি, মাঝে একটি ‘নো’ বলের পর টানা চারটি বৈধ ডেলিভারিতে ওভার শেষ করেছেন।
১ ওভার শেষ করতে ভারমান্নি বল ডেলিভারি করেন ১৩ বার। ৫ নো, ২ ওয়াইড আর ৪টি ছক্কা সঙ্গে ২টি চার। মোট ৪৩ রান দেন। এমন ওভারের পর অধিনায়ক তার হাতে আর বল তুলে দেওয়ার সাহস করেননি। আটলান্টা ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৭ রান তোলার পর অরল্যান্ডো ১৪২ রানে অলআউট হয়।