
বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চান তার শিষ্যরা শুধু ভালো শুরু নয়, বরং সুন্দরভাবে ম্যাচ শেষ করুক। অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের ব্যাটিং তাকে মুগ্ধ করেছে, তবে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন গেল ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরিয়ান লিটন অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ায়। সালাউদ্দিনের বিশ্বাস, ম্যাচের শেষটা ভালোভাবে করতে পারাটাই আসল ক্রিকেটীয় দক্ষতার প্রকাশ। এখনকার ম্যাচসহ এশিয়া কাপেও এমনটি দেখতে চান তিনি।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। এই ম্যাচের আগে গতকাল এশিয়া কাপ নিয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘এবার আমরা লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছি। প্র্যাকটিস, ফিল্ডিং, ব্যাটিং- সবকিছুতেই মনোযোগ দেওয়া গেছে। সাধারণত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত সময় পাওয়া যায় না, তাই এই সুযোগটা ছেলেদের স্কিল উন্নত করার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।’
খেলোয়াড় নির্বাচনের প্রসঙ্গেও তিনি স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। তার মতে, শুধু একজন ব্যর্থ হলেই আরেকজনকে সুযোগ দেওয়া ঠিক নয়। বরং দলে ঢুকতে হলে আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি ক্রিকেটারদের হতাশ না হতে পরামর্শ দিয়েছেন, ‘হেরে গেলেও তাতে পড়ে থাকার কিছু নাই। আমরা জাতি হিসেবে খুবই ইমোশনাল। কিন্তু বুঝতে হবে কখন কতটুকু আবেগ প্রকাশ করবো।’
সালাউদ্দিন মনে করেন, কোচিং স্টাফ যত কিছুই করুক, শেষ পর্যন্ত ম্যাচে কীভাবে চিন্তা করছে সেটিই নির্ধারণ করবে ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের এই কোচের ভাষায়, ‘আমাদের চাকরিতে সন্তুষ্ট হওয়ার জায়গা নেই। উন্নতির পথ সবসময় খোলা। এশিয়া কাপই শেষ লক্ষ্য নয়, তবে অবশ্যই এখানে ভালো করতে হবে।’
এ দিকে ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটার নিয়ে প্রচলিত ধারণা নিয়েও ভরসা রাখেন না তিনি। সালাউদ্দিনের মতে, ‘যে ভালো ব্যাটার, সে-ই আসল ব্যাটার।’ পাশাপাশি তিনি আরও যোগ করেন, ‘দলের বাইরে বসে থাকা খেলোয়াড়রা পারফর্ম করলে ভেতরে হেলদি কম্পিটিশন তৈরি হয়, যা পুরো দলের জন্যই ভালো।’
অন্যদিকে সিলেট সফরে বাংলাদেশে খেলে মুগ্ধ হয়েছেন নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটার নোয়া ক্রোস। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট নিয়ে এতটাই নিবেদিত। এখানে খেলে দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আমরা সিরিজ জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী, ২-১ এ জেতা সম্ভব।’ সালাউদ্দিন যেখানে শেষটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেখানে প্রতিপক্ষও বিশ্বাস করছে জয়ের সম্ভাবনায়। ফলে এশিয়া কাপের আগে এই সিরিজটাই টাইগারদের জন্য বড় প্রস্তুতির মঞ্চ হয়ে উঠেছে।