
নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের ফিফা প্রীতি ম্যাচ আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর, কাঠমান্ডুতে। নেপাল দল ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো চূড়ান্ত দল ঘোষণা করতে পারেনি। সবার আগে অনুশীলন শুরু করলেও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল ফুটবল ক্যাম্প। বসুন্ধরা কিংসের ১০ ফুটবলারকে পাচ্ছিলেন না কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। গতকাল কিংসের ফুটবলাররা যোগ দিয়েছেন। আর তাতে অপেক্ষার অবসান হয়েছে এবং ক্যাম্প পূর্ণ হয়েছে।
স্বস্তি পাচ্ছেন কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। এই স্প্যানিয়ার্ড টেনশনে ছিলেন কিংসের খেলোয়াড় না পাওয়ার কারণে। একটা দলের যদি ১০ জনই না থাকেন, তাহলে ক্যাম্প করবেন কীভাবে। কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান তার ক্লাবের খেলোয়াড় ছাড়তে রাজি ছিলেন না, খেলোয়াড়রা ক্লাবের অনুশীলন করবেন। নিয়ম অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টা আগে ছাড়বেন তিনি। আর বাফুফে বলেছিল, সেটি ঠিক না, আরও আগেও নাকি ছাড়ার নিয়ম রয়েছে।
কিন্তু বাফুফে সেটি প্রমাণ করতে পারেনি। কিংস বলেছিল ৩১ আগস্ট খেলোয়াড়দেরকে অনুশীলন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এসেছেন খেলোয়াড়রা। সবচেয়ে খুশি হয়েছেন কোচ। দলের বড় একটা অংশ না থাকায় মনে মনে ত্যক্ত-বিরক্ত ছিলেন তিনি। কোনো পরিকল্পনাই করতে পারছিলেন না। তাই কাল যেন লম্বা শ্বাস ছাড়লেন কোচ।
তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে হামজা চৌধুরী খেলতে পারবেন কি না। বাফুফে হতে আগেই বলা হয়েছিল, হামজা ইংল্যান্ড থেকে নেপালে যাবেন। ওখান থেকে খেলে ইংল্যান্ড ফিরে যাবেন। কিন্তু হামজা ইস্যুতে নতুন শঙ্কা জেগেছে। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগ লিগে লেস্টার সিটির অধিনায়ক হামজা বার্মিংহামের বিপক্ষে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন। কিন্তু সেই চোট কতটা গুরুতর, সেটি নিশ্চিত না।
হামজার চোটের গভীরতা নিশ্চিত হওয়ার পর জানা যাবে তিনি বাংলাদেশের জার্সি গায়ে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারবেন কি না। হামজার সঙ্গে বাফুফের যোগাযোগ সীমিত হয়েছে এবং সংকুচিত হয়ে গেছে। কারো মতে হামজার পক্ষ থেকে খুব একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। চোট পাওয়ার কারণেই নয়, আগে থেকেই নাকি বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ কমে গিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘হামজার ব্যাপারে কোনো খবর নেই। চোটের বিষয়টি তার ক্লাব থেকে নিশ্চিত হলে জানা যাবে হামজা কবে আসেবন। আদৌ আসবেন কি না।’
জাতীয় ফুটবল দল সূত্রে জানা গেছে, হামজাকে বাদ দিয়েই কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা তার পরিকল্পনা সাজিয়ে রাখছেন। হামজার জায়গায় কাকে খেলাবেন সেটিও চূড়ান্ত করে রেখেছেন। যদি হামজা আসেন তাহলে এক রকম, না আসলে অন্য পরিকল্পনা। ৬ সেপ্টেম্বরের ম্যাচে হামজার খেলার সম্ভাবনা দেখছেন না কোচ। ৯ সেপ্টম্বরের ম্যাচে হামজা আসবেন কি না, সেটিও একটি প্রশ্ন, এসব নিয়ে না ভেবে কোচ তার পরিকল্পনায় আগাচ্ছেন। হামজাকে বাদ দিয়েই আগাতে চান কোচ।
হামজার বিষয়টি জানতে গতকাল বাফুফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি। জাতীয় দল দেখভালের জন্য একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছিল। এ কমিটির কর্তা আমিরুল বাবুও হামজার বিষয়ে কিছু বলতে পারলেন না। তার জানা নেই। ‘প্রেসিডেন্ট সাহেব (বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল) বলেছিলেন, নেপালে আসবে হামজা। এখন আসবেন কি না, সেটি আমার জানা নেই। সভাপতি বলতে পারবেন।’
বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি। হামজার বিষয়ে কোনো জবাব দেননি। হামজার কাছ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত তাকে পাওয়ার আশায় আছে বাফুফে।