
শুরুতে নেদারল্যান্ডস দলের মিডিয়া ম্যানেজার কোরেভ রুটগার্স বেশ মজাই করলেন, ‘কোথায় আমার কোচ! হাইজ্যাক হয়ে গেছে নাকি?’ তবে সময় যত গড়াচ্ছিল, তার কপালের ছোট ছোট জমা ঘামগুলো গড়িয়ে পড়তে শুরু করল। চোয়ালটা শক্ত হয়ে গেল এবার, ‘আমার কোচ সত্যিই মিসিং। তাকে তো কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সিলেটে প্রায় ৩০ মিনিটের একটা রুদ্ধদ্বার পরিবেশ তৈরি হলো।
প্রথমে বিষয়টিকে রসিকতার ছলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন দলের মিডিয়া ম্যানেজার কোরেভ রুটগার্স। হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘আমার কোচ কি হাইজ্যাক হয়ে গেল?’ তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার মুখে দেখা দেয় চিন্তার ছাপ। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তখন বলেন, ‘আমার কোচ সত্যিই মিসিং। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।’
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, সফরকারী দলের মিডিয়া ম্যানেজারের সঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিকরাও কোচকে খুঁজতে নেমে পড়েন। ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না রায়ানের সঙ্গে।
চার বছর (২০১৮–২০২২) বাংলাদেশের জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ ছিলেন রায়ান। এ দেশের মাঠ ও পরিবেশ তার চেনা। তাই এমন এক দিনে, পরিচিত সিলেটের মাঠেই এভাবে তার ‘হারিয়ে’ যাওয়ার খবরে অনেকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
শেষমেশ সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে হন্তদন্ত হয়ে উপস্থিত হন রায়ান কুক। সাংবাদিকদের সামনে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি জানান, ‘আমি আসলে ম্যাচ রেফারির রুমে ছিলাম। সেখানে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল।’
এই বিষয়ে মিডিয়া ম্যানেজার কোরেভ অবগত না থাকায় পুরো বিভ্রান্তির সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় রায়ান নিজেও খানিকটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বলেন,‘বাংলাদেশে ফিরে দারুণ লাগছে। অনেক দিনের পরিচিত মুখ দেখলাম। এখানে অনেক সুন্দর স্মৃতি রয়েছে।’
সিলেট নিয়ে আলাদাভাবে বললেন, ‘যখন শুনলাম সিরিজটি সিলেটে হবে, তখনই মনে পড়ল—এই মাঠে তো অনেক ভালো স্মৃতি রয়েছে। কোচ, কর্মকর্তা—সবাইকে দেখে ভালো লাগছে।’
পুরনো অভিজ্ঞতা আর স্মৃতিকে কাজে লাগিয়ে এই সফরে অন্তত একটি জয় তুলে নিতে চান রায়ান কুক। জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্য নিয়েই দল প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে।