
২৫তম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের চেষ্টায় আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন নোভাক জোকোভিচ। ক্যামরন নরিকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছে গেছেন তিনি। ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জিমি কনর্সের পর এই টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেওয়া প্রথম ৩৮ বছর বয়সী খেলোয়াড় জোকোভিচই।
নরিকে ৬-৪, ৬-৭ (৪), ৬-২, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন জোকোভিচ। মেজর টুর্নামেন্টে হার্ডকোর্টে জোকোভিচের ১৯২তম জয় এটি। এখানেই তিনি পেছনে ফেলেছেন রজার ফেদেরারকে।
নরিকে হারানোর পথটা সহজ ছিলো না জোকোভিচের। এই ম্যাচ জিততে হারাতে হয়েছে চোটকেও! প্রথম সেটে ৫-৪ গেমে এগিয়ে থাকার সময় পিঠের নিচের দিকে ব্যাথা অনুভব করেন তিনি। কোর্টের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে প্রথম সেট জিতে নেন।
দ্বিতীয় সেটের মাঝামাঝিতে আবারও ব্যথার কারণে চিকিৎসা নিতে হয় জোকোভিচকে। তার সার্ভের গতিও কমে যায় দৃশ্যমানভাবেই। তুমুল লড়াইয়ের পর ওই সেট জিতে নেন নরি। তবে পরের দুই সেটে দাপট দেখিয়ে নরিকে উড়িয়ে দেন জোকোভিচ।
ম্যাচ শেষে জোকোভিচ বলেন, ‘এই ম্যাচে বা যেকোনো ম্যাচে চাওয়া থাকে সবসময় সরাসরি সেটে জেতা যায়, কোনো নাটকীয়তায় ছাড়া সহজে জেতা যায়। তবে সেটা তো সবসময় সম্ভব নয়। আমার টিম চায় আমাকে যেন একটু ভোগান্তিতে পড়তে হয়, যাতে ম্যাচে আরও কিছু সময় বেশি থাকতে পারি কোর্টে। পরীক্ষার সামনে পড়াটা খারাপ নয়, বিশেষ করে উইম্বলডনের পর আর কোনো টুর্নামেন্টে খেলিনি।’
চোট নিয়ে তিনি বলেন, ‘এরকম উত্থান-পতন থাকেই। প্রতিদ্বন্দ্বিদের কাছে খুব বেশি কিছু খোলাসা করা যাবে না। তারা দেখছে ও শুনছে। আমি ভালো আছি, ঠিক আছে। সবসময়ের মতোই তরুণ ও শক্তিশালী আছি।’