
আইএল টি-টোয়েন্টির প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যাটে-বলে আধিপত্য দেখিয়ে ফাইনালে উঠেছে ডেজার্ট ভাইপার্স। আবু ধাবিতে মঙ্গলবার এমআই এমিরেটসকে তারা হারিয়েছে ৪৫ রানে। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামার সময়ই সাকিব আল হাসানের দলের জয়ের সম্ভাবনা কার্যত ফুরিয়ে যায়।
এই জয়ের ভিত গড়ে দেন আন্দ্রিয়েস হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের ওপেনার ৯ ছক্কা ও ৭ চারে ৫৮ বলে অপরাজিত ১২০ রান করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। হাউসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে এক উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ভাইপার্স, যা প্রতিযোগিতাটিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় পুঁজি।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা মন্দ ছিল না এমিরেটসের। প্রথম ১০ ওভারে এক উইকেটে ১০৪ রান তোলে তারা। আন্দ্রে ফ্লেচারকে হারালেও মোহাম্মাদ ওয়াসিম ও টম ব্যান্টনের ব্যাটে এগোতে থাকে দলটি। ইংলিশ কিপার-ব্যাটসম্যান ব্যান্টন মাত্র ২১ বলে ফিফটি করেন। একাদশ ওভারে ওয়াসিম (৩২ বলে ৪১) আউট হলে ৪৩ বলে ৮১ রানের জুটি ভাঙে। সেখান থেকেই ছন্দ হারাতে শুরু করে এমিরেটস।
পরের ধাপে দ্রুত উইকেট পড়তে থাকে। পরপর দুই বলে ব্যান্টন (২৭ বলে ৬৩) ও সাঞ্জায় কৃষ্ণামূর্তিকে ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানের অফ স্পিনার উসমান তারিক। একটি করে চার ও ছক্কায় ১৫ রান করা কাইরন পোলার্ডও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানের বেশি করতে পারেনি এমিরেটস।
ষোড়শ ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বলেই বাঁহাতি পেসার ডেভিড পেইনের স্লোয়ারে কাট শটে চার মারেন তিনি। তবে ১৯তম ওভারে পেইনের নিচু ফুল টসে মিড-অফে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। ছয় বলে ৮ রান করেন সাকিব। বোলিংয়ে এক ওভার করে ১০ রান দিলেও উইকেট পাননি তিনি।
সাত নম্বরে নেমে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন রোমারিও শেফার্ড। তবে তার লড়াকু ইনিংসও ব্যবধান কমাতে পারেনি। এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠল ডেজার্ট ভাইপার্স। আগের তিন আসরের দুটিতে ফাইনালে উঠে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল তাদের।
হারের পরও শিরোপা দৌড়ে থাকার সুযোগ পাচ্ছে এমআই এমিরেটস। কাইরন পোলার্ডের নেতৃত্বাধীন দলটি এলিমিনেটরে আবু ধাবি নাইট রাইডার্স ও দুবাই ক্যাপিটালসের ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে।