
রাজধানীর পূর্বাচলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হবে। এই মেলায় দর্শনার্থীদের যাওয়া-আসার সুবিধার্থে ঢাকার খেজুরবাগান, কুড়িল বিশ্বেরোডসহ নরংসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ থেকে চলাচল করবে ২০০ শাটল বাস। এবারের মেলায় প্রবেশ করতে দর্শনার্থীদের ৫০ টাকায় টিকিট কাটতে হবে।
নির্ধারিত দিনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই মেলার উদ্বোধন করবেন। এই মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০০ শাটল বাস ছাড়াও রাইড শেয়ার পাঠাও-এ থাকবে বিশেষ মূল্য ছাড় থাকবে।
মেলা উপলক্ষে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) পূর্বাচলের বাংলাদেশ চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে আয়োজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এই সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পঞ্চমবারের মতো বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩২৪টি দেশি-বিদেশি প্যাভিলিয়ন ও স্টল থাকছে। মেলার টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা এবং শিশুদের (১২ বছরের নিচে) ক্ষেত্রে ২৫ টাকা। তবে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী ও জুলাই আহতরা তাদের কার্ড প্রদর্শন করে বিনা মূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মাসব্যাপী মেলাটি সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
স্পট টিকিট কেনার পাশাপাশি অনলাইনে টিকিট কিনে কিউআর কোড স্ক্যান করে মেলায় প্রবেশ করা যাবে।
চার স্পট থেকে ছাড়বে বাস
ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে রেয়াতি মূল্যে ‘পাঠাও’ সার্ভিস। তাছাড়া মেলায় সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড, ফার্মগেট (খেজুরবাগান বা খামারবাড়ি), নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেক প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বাণিজ্য মেলার উদ্দেশ্যে বিআরটিসির ২০০টির বেশি শাটল বাস চলবে।
মেলা প্রাঙ্গণ থেকে শাটল বাসের সর্বশেষ ট্রিপ ছাড়বে রাত ১১টায়। ফার্মগেট (খেজুরবাগান/খামারবাড়ি) মেলা প্রাঙ্গণ ভাড়া ৭০ টাকা; কুড়িল বিশ্বরোড-মেলা প্রাঙ্গণ ৪০ টাকা; নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া মেলা-প্রাঙ্গণ ভাড়া ১২০ টাকা; মুক্তারপুর মেলা-প্রাঙ্গণ ভাড়া ১৩০ টাকা; নরসিংদী মেলা প্রাঙ্গণ ভাড়া ১০০ টাকা; মেলা প্রাঙ্গণ হতে সাইনবোর্ড ভাড়া ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ ছাড়াও মোট ভারত, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়ার মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করছে। গত বছরের মেলায় মোট ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া বা আর্টিফিশিয়াল চামড়া, জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্ট ফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে।