
বাংলাদেশ ফুটবল লিগের গুরুত্বপূর্ণ খেলা, বসুন্ধরা কিংসের মাঠে আবাহনী-বসুন্ধরা কিংস মুখোমুখি। গুরুত্বপূর্ণ খেলা। আবাহনী ও কিংস ম্যাচ ২-২ গোলে শেষের পথে। ৯ মিনিট বাকি। চরম উত্তেজনা। আবাহনী পেনাল্টি পেল। গোল করতে পারলে ম্যাচ জিতে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। পেনাল্টি শট করতে বল বসালেন সুলায়মান দিয়াবাতে। তার আগেই গোলপোস্টের পেছনে ফেন্সিংয়ে উঠে সমর্থকরা পোস্টের নেট ধরে ঝাকাতে শুরু করলেন। সবাই মিলে এমনভাবে ঝাঁকালেন যেন আবাহনীর সুলায়মান দিয়াবাতের মনসংযোগ নষ্ট হয়, গোল করতে না পারেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে রেফারি সায়মন হাসান শট করার সিদ্ধান্ত দেন। বাধ্য হয়ে শট করেন সুলায়মান দিয়াবাতে। শট ঠেকিয়ে দিলেন কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। কিংসের সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়লেন। ম্যাচ ড্র হলো ২-২ গোলে। আবাহনীর জয় ঠেকিয়ে আনন্দ করল কিংসের গ্যালারিতে থাকা সমর্থকরা।

আবাহনী ক্ষুব্ধ। নেট ঝাকাতে ঝাকাতে পেনাল্টি শটের মনসংযোগ নষ্ট করা হয়েছে। আবাহনীর দাবি রেফারি কেন পরিস্থিতি শান্ত না করে খেলা চালিয়েছেন। ম্যাচ কমিশনার ভারত চন্দ্র গৌড় সব কিছু দেখলেন। কেন তিনি এগিয়ে গেলেন না। আবাহনী মনে করে নিশ্চিত জয়ের ম্যাচটা হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ম্যাচে পুলিশের কাছে (২-১) হারের পর কাল আবাহনীর বিপক্ষে জিততে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। অথচ ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল বসুন্ধরা কিংস। ৫ মিনিটে রাকিব গোল করেন, ১-০। ১৬ মিনিটে নাইজেরিয়ান চুকুউ এমকা এমানুয়েল সানডে গোল করেন, ২-০। সেখান থেকে ফিরে আসে আবাহনী। ১৯ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল শোধ করেন আবাহনীর সুলায়মান দিয়াবাতে, ১-২। দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরুতেই আবাহনী সমতা আনে। আবার সেই সুলায়মান দিয়াবাতে গোল করেন ৫১ মিনিটে, ২-২।

চরম উত্তেজনাপূর্ণ খেলা। ৯ মিনিট বাকি থাকতে আবার পেনাল্টি পায় আবাহনী। কিন্তু গোল হয়নি। গোল লাইনের দাঁড়িয়ে জিকো ঠেকিয়ে দিলেও বড় কাজটি করে দিয়েছেন সমর্থকরা। তারপরও ৮ খেলায় ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে কিংস। সমান খেলায় আবাহনীর ১০ পয়েন্ট।
গতকাল ফুটবল লিগে একদিনে আরO চার ম্যাচ হয়েছে। কুমিল্লায় ২৩ মিনিটে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে গোল হজম করে ৬৩ মিনিটে গোল শোধ করে ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে মোহামেডান। মুন্সিগঞ্জে ব্রাদার্স ২১ মিনিটে গোল করে ফর্টিসের বিপক্ষে এগিয়ে ছিল। ৬৪ মিনিটে গোল করে সমতা আনে ফর্টিস, ১-১। গাজীপুরে ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব ২-১ গোলে হারিয়েছে পিডব্লিউডিকে।