স্প্যানিশ জায়ান্টস বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের শতবর্ষী প্রতিদ্বন্দ্বিতার লড়াই এখন আদালতের কাঠগড়ায়। ‘নেগ্রেইরা কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত মামলাটি ক্রমেই ইউরোপিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে আলোচিত তদন্তে রূপ নিচ্ছে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনার আর্থিক নথি, অডিট রিপোর্ট ও অভ্যন্তরীণ তদন্তের পূর্ণাঙ্গ কপি চেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
তাদের দাবি, ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বার্সার আর্থিক কার্যক্রমের সব বিশ্লেষণ আদালতের হাতে থাকা উচিত। এই অনুরোধ প্রকাশ করেছেন সাবেক লা লিগা রেফারি ও বর্তমান মামলার বেসরকারি পক্ষভুক্ত অভিযোগকারী জাভিয়ার এসত্রাদা ফের্নান্দেস। তার সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত আদালতের আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বার্সেলোনার সব আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন, ডিউ ডিলিজেন্স রিপোর্ট এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। এসব বিশ্লেষণ করেছে বিশ্বের শীর্ষ অডিট প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি, পিডব্লিউসি, ডেলয়েট ও এল। এমন নথিও আদালতে জমা চেয়েছে তারা। 
মূলত বার্সার আর্থিক সিদ্ধান্তগুলো কীভাবে নেওয়া হয়েছিল এবং সাবেক রেফারি কর্মকর্তা হোসে মারিয়া এনরিকেস নেগ্রেইরা বা তার সংস্থাগুলোর কাছে কোটি ইউরো পরিশোধের প্রক্রিয়া কোথা থেকে শুরু হয়েছিল তা জানতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। আর্থিক, কর ও চুক্তিগত দিক থেকেও এই পেমেন্টগুলো বৈধ ছিল কি না তা নিরূ পণ করতে চায় ক্লাবটি। তবে শুধু তৃতীয় পক্ষের অডিট রিপোর্ট নয়, বরং আরও বড় আকারের তথ্য চাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে বার্সেলোনা কর্তৃক আদালতে জমা দেওয়া ৬০০টির বেশি আর্থিক নথির পূর্ণ কপি চাইছে রিয়াল মাদ্রিদ। এদিকে বিষয়টিকে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি বলে অভিহিত করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। ক্লাবের ঐতিহ্যবাহী বড়দিনের ভাষণে রেফারিং কাঠামো ও স্পেনের ফুটবল কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় মুখর হন তিনি। পেরেজের ভাষণ শেষ হতে না হতেই পালটা জবাব দেন বার্সেলোনা সভাপতি জোয়ান লাপোর্তা। তিনি তির্যক ভঙ্গিতে মন্তব্য করেন, রিয়াল মাদ্রিদ এখন বার্সেলোনার সাফল্যে হিংসাপরায়ণ হয়ে পড়েছে। এই ঈর্ষা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকেই তারা বার্সার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।
