
অ্যাডিলেইড টেস্ট শেষে যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স, সেটিই শেষ পর্যন্ত বাস্তব হলো। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে খেলছেন না অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ক্রাচে ভর দিয়ে চলা ন্যাথান লায়নও থাকছেন না বছর শেষের গুরুত্বপূর্ণ এই টেস্টে।
কামিন্সের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দেবেন স্টিভেন স্মিথ। চলতি অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টে তার নেতৃত্বেই জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অসুস্থতার কারণে তৃতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি স্মিথ।
কামিন্সের জায়গায় স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে জাই রিচার্ডসনকে। তিন টেস্ট খেলা এই পেসার চার বছর পর ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলার সুযোগ পেতে পারেন।
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া লায়নের জায়গায় দলে এসেছেন অফ স্পিনার টড মার্ফি। তবে একাদশে তার থাকা এখনো নিশ্চিত নয়। মেলবোর্ন টেস্টে চার পেসার নিয়ে নামার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড।
পিঠের চোট কাটিয়ে পাঁচ মাস পর অ্যাডিলেইড টেস্ট দিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন কামিন্স। দুই ইনিংসেই তিনটি করে উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে ছিলেন কার্যকর, নেতৃত্বেও ছিলেন দৃঢ়। সেই টেস্ট জিতেই সিরিজ জয় ও অ্যাশেজ ধরে রাখা নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের ফয়সালা হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি না নিয়ে কামিন্সকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
অ্যাডিলেইডে অনুশীলনের জন্য দলের সঙ্গে ছিলেন রিচার্ডসন। এবার মেলবোর্ন টেস্টের স্কোয়াডেও জায়গা পেলেন চোটপ্রবণ এই পেসার। তবে একাদশে মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসেবে খেলবেন মাইকেল নিসার। ব্রিজবেন টেস্টে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরও কামিন্স ফেরায় অ্যাডিলেইডে বাদ পড়েছিলেন তিনি। এবার আবার একাদশে ফেরার সম্ভাবনাই বেশি। অস্ট্রেলিয়া চার পেসার খেলালে রিচার্ডসনেরও মাঠে নামার সুযোগ তৈরি হবে।
ব্রিজবেন টেস্টে খেলতে না পারা লায়ন অ্যাডিলেইডে ফিরে দুই ইনিংসে নেন পাঁচ উইকেট। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে তার স্পেলই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তবে ফিল্ডিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান এই অভিজ্ঞ স্পিনার। শুধু মেলবোর্ন নয়, সিডনিতে নতুন বছরের টেস্টেও তাঁর খেলা নিশ্চিতভাবেই হচ্ছে না।
এ পর্যন্ত সাত টেস্ট খেলা টড মার্ফি উইকেট নিয়েছেন ২২টি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে নাগপুরে অভিষেক টেস্টেই এক ইনিংসে সাত উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন তিনি। সবশেষ টেস্ট খেলেছেন চলতি বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে।
মার্ফির খেলা সাতটি টেস্টই ছিল দেশের বাইরে। গত ১৪ বছর ধরে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পছন্দের স্পিনার ছিলেন ন্যাথান লায়ন। মেলবোর্নে মার্ফি একাদশে সুযোগ পেলে সেই ধারার ব্যতিক্রম ঘটবে।