
নেইমার মানেই ছিল ড্রিবলিংয়ের জাদু, গ্যালারিজুড়ে উন্মাদনার নাম। কিন্তু ইউরোপ কাঁপানো সেই নেইমার এখন ৩৩ বছরের এক ক্লান্ত যোদ্ধা। বার্সেলোনা বা পিএসজিতে যার পায়ের জাদুতে স্টেডিয়াম ফেটে পড়ত, সেই জাদুকর এখন বারবার চোটের সঙ্গে লড়াই করে এগোচ্ছেন।
সৌদি ক্লাব আল-হিলালে গুরুতর চোটে পড়ার পর নাড়ির টানে ফিরেছিলেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। কিন্তু সেখানেও নিয়মিত খেলার মতো ফিটনেস ফিরে পাননি। এর ফলেই জায়গা হারান ব্রাজিল জাতীয় দলেও। তবু হাল ছাড়েননি নেইমার। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন এখনো তার চোখে। সেই স্বপ্ন পূরণে নিয়মিত খেলার ছন্দে ফেরাটা যে ভীষণ জরুরি, সেটাও ভালোই জানেন তিনি।
সান্তোসের সঙ্গে নেইমারের চুক্তি শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। এরপর নিজেকে জাতীয় দলে ফেরানোর যোগ্য প্রমাণ করতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবে যাওয়ার কথা ভাবছেন—এমন গুঞ্জনই শোনা যাচ্ছে। তবে সেই সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
এই আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন সাবেক ইংল্যান্ড উইঙ্গার ক্রিস ওয়াডল। তার দাবি, এখন কোনো ইংলিশ ক্লাব যদি নেইমারকে দলে নেয়, তবে তা ফুটবলীয় কারণে নয়—হবে শুধুই বাণিজ্যিক লাভের আশায়। ওয়াডলের মতে, ‘এখনো নেইমার মানে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোটি কোটি লাইক আর ভিউ। জার্সি বিক্রিতে তিনি বিশাল আকর্ষণ। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের দমছুট গতির ফুটবলে তিনি আদৌ মানিয়ে নিতে পারবেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন।’
ওয়াডল স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমার মনে হয় না, কোনো বড় ক্লাব তাকে নেবে। তার হাঁটুতে গুরুতর চোট ছিল। প্রিমিয়ার লিগ হলো গতির খেলা। কেউ যদি তাঁকে নেয়, তাহলে সেটা হবে তাঁর প্রোফাইল আর বিপণনের কথা ভেবে। মাঠের পারফরম্যান্সে তিনি দলকে খুব বেশি কিছু দিতে পারবেন বলে মনে হয় না।’
উপমার মাধ্যমে আরও খোঁচা দেন ওয়াডল, ‘নেইমার তো আর শেফিল্ড ওয়েনসডেতে খেলতে আসবেন না। বড় কোনো ক্লাব যদি তাকে নেয়, তাহলে সেটা হবে প্রচার আর মার্কেটিংয়ের জন্যই। এতে দল হিসেবে তারা কতটা শক্তিশালী হবে, সেটাই প্রশ্ন।’
এমনকি নেইমার ফিরলেও ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন না ওয়াডল। তার কথায়, ‘নেইমার হয়তো আবার দলে ঢুকবে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, ব্রাজিল এখন আগের মতো ভয়ংকর নয়। আমি ওদের বিশ্বকাপ জয়ের কোনো সম্ভাবনা দেখি না।’
সবকিছুর মাঝেই ২০২৫ মৌসুমে সান্তোসকে অবনমন থেকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন নেইমার। সম্প্রতি করেছেন হ্যাটট্রিকও। তবে ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ দ্রুতই শেষ হয়ে আসছে। প্রিমিয়ার লিগে সুযোগ না হলে বন্ধু লিওনেল মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামিতে আবার জুটি বাঁধার গুঞ্জনও রয়েছে।
এই মুহূর্তে অবশ্য নেইমার আছেন বিশ্রামে। বেলো হরিজেন্তেতে গতকাল তার বাঁ হাঁটুর মেনিসকাসে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। গত মাসের শেষ দিকে এই চোটে পড়েন তিনি। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, অস্ত্রোপচার থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে নেইমারের সর্বোচ্চ এক মাস সময় লাগতে পারে।
নেইমার মানেই ছিল ড্রিবলিংয়ের জাদু, গ্যালারিজুড়ে উন্মাদনার নাম। কিন্তু আজ ‘ছিল’ শব্দটাই ব্যবহার করতে হচ্ছে—কারণ সময় বড় নিষ্ঠুর। ইউরোপ কাঁপানো সেই নেইমার এখন ৩৩ বছরের এক ক্লান্ত যোদ্ধা। বার্সেলোনা বা পিএসজিতে যাঁর পায়ের জাদুতে স্টেডিয়াম ফেটে পড়ত, সেই জাদুকর এখন বারবার চোটের সঙ্গে লড়াই করে এগোচ্ছেন।
সৌদি ক্লাব আল-হিলালে গুরুতর চোটে পড়ার পর নাড়ির টানে ফিরেছিলেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। কিন্তু সেখানেও নিয়মিত খেলার মতো ফিটনেস ফিরে পাননি। এর ফলেই জায়গা হারান ব্রাজিল জাতীয় দলেও। তবু হাল ছাড়েননি নেইমার। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন এখনো তার চোখে। সেই স্বপ্ন পূরণে নিয়মিত খেলার ছন্দে ফেরাটা যে ভীষণ জরুরি, সেটাও ভালোই জানেন তিনি।
সান্তোসের সঙ্গে নেইমারের চুক্তি শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। এরপর নিজেকে জাতীয় দলে ফেরানোর যোগ্য প্রমাণ করতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবে যাওয়ার কথা ভাবছেন—এমন গুঞ্জনই শোনা যাচ্ছে। তবে সেই সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
এই আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন সাবেক ইংল্যান্ড উইঙ্গার ক্রিস ওয়াডল। তার দাবি, এখন কোনো ইংলিশ ক্লাব যদি নেইমারকে দলে নেয়, তবে তা ফুটবলীয় কারণে নয়—হবে শুধুই বাণিজ্যিক লাভের আশায়। ওয়াডলের মতে, ‘এখনো নেইমার মানে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোটি কোটি লাইক আর ভিউ। জার্সি বিক্রিতে তিনি বিশাল আকর্ষণ। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের দমছুট গতির ফুটবলে তিনি আদৌ মানিয়ে নিতে পারবেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন।’
ওয়াডল স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমার মনে হয় না, কোনো বড় ক্লাব তাকে নেবে। তার হাঁটুতে গুরুতর চোট ছিল। প্রিমিয়ার লিগ হলো গতির খেলা। কেউ যদি তাকে নেয়, তাহলে সেটা হবে তার প্রোফাইল আর বিপণনের কথা ভেবে। মাঠের পারফরম্যান্সে তিনি দলকে খুব বেশি কিছু দিতে পারবেন বলে মনে হয় না।’
ওয়াডল বলেন, ‘নেইমার তো আর শেফিল্ড ওয়েনসডেতে খেলতে আসবেন না। বড় কোনো ক্লাব যদি তাকে নেয়, তাহলে সেটা হবে প্রচার আর মার্কেটিংয়ের জন্যই। এতে দল হিসেবে তারা কতটা শক্তিশালী হবে, সেটাই প্রশ্ন।’
এমনকি নেইমার ফিরলেও ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন না ওয়াডল। তিনি বলেন, ‘নেইমার হয়তো আবার দলে ঢুকবে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, ব্রাজিল এখন আগের মতো ভয়ংকর নয়। আমি ওদের বিশ্বকাপ জয়ের কোনো সম্ভাবনা দেখি না।’
সবকিছুর মাঝেই ২০২৫ মৌসুমে সান্তোসকে অবনমন থেকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন নেইমার। সম্প্রতি করেছেন হ্যাটট্রিকও। তবে ক্লাবটির সঙ্গে তাঁর চুক্তির মেয়াদ দ্রুতই শেষ হয়ে আসছে। প্রিমিয়ার লিগে সুযোগ না হলে বন্ধু লিওনেল মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামিতে আবার জুটি বাঁধার গুঞ্জনও রয়েছে।
এই মুহূর্তে অবশ্য নেইমার আছেন বিশ্রামে। বেলো হরিজেন্তেতে হাঁটুর মেনিসকাসে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। গত মাসের শেষ দিকে এই চোটে পড়েন তিনি। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, অস্ত্রোপচার থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে নেইমারের সর্বোচ্চ এক মাস সময় লাগতে পারে।