
আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বাদশ আসর। প্রতিবার ঢাকা পর্ব দিয়ে টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ালেও এবার আসরে সিলেট পর্ব দিয়ে পর্দা উঠবে। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দলগুলো সারছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। ছয় দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের আসরে সবার আগে অনুশীলন শুরু করেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
গতকাল দুপুরে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমিতে নিজেদের প্রথম দিনের অনুশীলন সেরেছে রাজশাহী। প্রথম দিনের অনুশীলনে ছিলেন মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম, আকবর আলিসহ দলটির বেশির ভাগ স্থানীয় ক্রিকেটার। পুরো দলই ছিল উচ্ছ্বাসিত। যেখানে খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করেছেন রাজশাহী দলের হেড কোচ হান্নান সরকার। অনুশীলনে সবার গায়ে ছিল প্রাকটিস কিট। বিপিএলে সাধারণত টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এতো পেশাদারিত্ব নিয়ে অনুশীলন শুরু করা খুব কম ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে দেখা যায়।

রাজশাহী সমর্থকদের জন্য স্বস্তির খবর হচ্ছে, টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ৬ বিদেশিকে পাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পুরো দলের সঙ্গে সিলেটে পা রাখবে রাজশাহীর বিদেশি খেলোয়াড়রা। আগামী মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচের ভেন্যু সিলেটে চলে যাবেন তারা। গতকাল অনুশীলন শেষে রাজশাহীর হেড কোচ হান্নান সরকার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ সব তথ্য জানান।
সিলেটে পা রাখার বিষয় নিয়ে হান্নান সরকার বলেন, ‘আমি জানিয়ে রাখতে পারি আমরা ২৩ তারিখ সিলেট যাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবে ২২ তারিখে ছয় জন বিদেশি ক্রিকেটার আমাদের দলে ঢুকে যাবে বা ২৩ তারিখ সকালেও যদি আসতে পারে, তাহলে ২৩ তারিখ বিকালের ফ্লাইটে আমরা সিলেট যাচ্ছি।’

এছাড়াও বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে রাজশাহীর হেড কোচ বলেন, ‘ছয় জন বিদেশি ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গে একসঙ্গে ডমেস্টিকে ফ্লাই করবে। বিদেশিদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত সব গ্রিন সিগনাল নিয়ে এগোচ্ছি। আমাদের ছয় জন বিদেশি ক্রিকেটার ইনশাআল্লাহ সিলেটের প্রথম দিন থেকেই থাকবে।’
কোন ছয় জন বিদেশি ক্রিকেটারকে শুরু থেকেই পাবে রাজশাহী, সেটিও জানালেন হান্নান। বলেন, ‘ছয় জন আপনারা এরই মধ্যে জানেন যে আমাদের যে ক্রিকেটাররা রয়েছে সবাই জানেন সরাসরি চুক্তি ও নিলাম থেকে নেওয়া। তাদের নাম আপনারা সবাই জানেন। তার মধ্যে আমি যদি নাম মেনশন করি, প্রথম থেকেই সাহিবজাদা ফারহান, হুসাইন তালাত, মোহাম্মদ নওয়াজ, সন্দীপ লামিচানে, বিনুরা ফার্নান্দো ও জাহান্দাদ খান।’

বছরের শুরুর দিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তুলনামূলক কম শক্তির আবাহনী লিমিটেডের কোচিং করিয়ে শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলেন হান্নান। এবার রাজশাহীর হয়েও একই লক্ষ্য জাতীয় দলের সাবেক ওপেনারের। নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাধারণত চ্যাম্পিয়নের জন্যই কাজ শুরু করি। তবে ধাপে ধাপে এগোতে হয়। আবাহনী যখন করেছি তখনও কিন্তু বলেছি যে চ্যাম্পিয়ন চূড়ান্ত লক্ষ্য। তবে নিশ্চিতভাবেই ধাপে ধাপে সময়ের সঙ্গে ম্যাচ-আপ করে কীভাবে এগোনো যায় সেটা লক্ষ্য থাকবে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম না।’
এছাড়াও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে রাজশাহী। এই বিষয়ে রাজশাহীর মাস্টারমাইন্ড বলেন, ‘বিপিএলে স্বাভাবিকভাবেই টিম মালিক থেকে শুরু করে যখন ম্যানেজমেন্ট দায়িত্ব নিয়েছি, কাজ করা শুরু করেছি-লক্ষ্যটা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। তবে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ভাগ্যের বিষয়টা সব সময় চলে আসে। সেই বিষয়টা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যাবে। তবে লক্ষ্য অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’