
পূর্বাচলে হবে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ২০১৭ সালে বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে পূর্বাচলে এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠের সঙ্গে একটি পাঁচ তারকা হোটেল, সুইমিং পুল, জিম, প্যাভিলিয়ন এবং মিডিয়া সেন্টার করার কথা ছিল।
তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ক্রিকেট বোর্ড। ফারুক আহমেদ বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার পর স্টেডিয়ামে নাম ও নকশা পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন এবং বাতিল করা হয় স্টেডিয়ামের দরপত্র।
যদিও বিসিবির তফর থেকে জানানো হয়েছে, পূর্বাচলে আপাতত একটি ক্রিকেট মাঠ তৈরির পরিকল্পনা করছে। মাঠের পিচ তৈরির জন্য ২০ হাজার সেপটিক মাটি কিনেছে বিসিবি। এবার সেই মাটি উধাও হয়ে যায়। ২০ হাজার সেপটিক কেনা মাটির মধ্যে চুরি হয়ে গেছে প্রায় ১৩ হাজার সেপটিক মাটি। ক্রয়মূল্য হিসাব করলে এই চুরির ঘটনায় ক্রিকেট বোর্ডের ক্ষতি প্রায় ২৪ লাখ টাকা।
এমন ঘটনা প্রকাশে আসার পর গতকাল পূবার্চলের সেই মাঠ পরিদর্শনে যান বিসিবির পরিচালক খালেদ মাসুদ পাইলট ও আসিফ আকবর। মাটি চুরির ঘটনায় অবাক হয়েছেন তারাও। কারা মাটি চুরি করেছে, এই বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে রহস্য উদঘাটন করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন পাইলট।
মাটি চুরির বিষয়ে গতকাল সংবাদধাম্যমে পাইলট বলেন, আমি এটি শুনেছি, আমার দায়িত্ব পাওয়ার আগে এখানে ২০ হাজার সেপটিক মাটি পূর্বাচলে পড়ার কথা। কিন্তু এখন যেটা দেখা যাচ্ছে এখানে সাড়ে ৭হাজারের মতো সেপটিক মাটি আছে। সাড়ে ১২ হাজার সেপটিকের মতো মাটি দেখছি না। আমাদের আসার আগে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা তদন্ত করছি, খুব শিগগিইর আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। এই জন্য আমরা এই মুহূর্তে মাটি ব্যবহার করতে চাচ্ছি না। কারণ এই মুহূর্তে মাটি ব্যবহার করলে এর ডকুমেন্টস থাকবে না।
এছাড়া এ ম্যাচে মধ্যে অনেক বাজে মাটি আছে বলে উল্লখ করেছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান পাইলট। তিনি বলেন, এই মাটির মধ্যে বেশির ভাগ মাটিই ব্যবহার করার মতো না। এই জন্য আমি এই মাটিতে হাত দিতে চাচ্ছি না। এটার একটা সুন্দর সমাধান করা হবে।
পূর্বাচলের পিচের মাটি চুরি করা সময়সাপেক্ষ। ভেতরের কেউ এর সঙ্গে জড়িত না থাকলে বাইরের কারো পক্ষে একা এই কাজ করা সম্ভব নয়। এই বিষয়ে পাইলট বলেন, আমরা এই বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করব। আমি মনে করি, তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সত্যিটা বের হবে আসবে। এই সঙ্গে বাইরের কারা জড়িত আছে এবং ভেতরের কারা জড়িত আছে, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
যদিও ২০ হাজার সেপটিক মাটি পূর্বাচলে এসেছে কি না, সেই বিষয়েও নিশ্চিত নন পাইলট। যার কারণে তদন্তের আগে বিস্তারিত কিছু বলতে চান না তিনি। যদিও স্বচ্ছ তদন্ত চান বিসিবির এই পরিচালক। যেখানে বোর্ডের পাশাপাশি বাইরের গয়েন্দা সংস্থার দুই-একজনকে রাখতে চান পাইলট।