
জাস্টিন গ্রেভসের ডাবল-সেঞ্চুরি ও কেমার রোচের দায়িত্বশীল ব্যাটিং নৈপুণ্যে অবিশ্বাস্যভাবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র করেছে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ৫৩১ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে অধিনায়ক শাই হোপের লড়াকু সেঞ্চুরিতে চতুর্থ দিন শেষে ৪ উইকেটে ২১২ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে টেস্ট জয়ের জন্য ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন ৬ উইকেট হাতে নিয়ে আরও ৩১৯ রান দরকার ছিল ক্যারিবীয়দের।
ক্রাইস্টচার্চে টেস্টের পঞ্চম দিন প্রথম ব্যাটার হিসেবে নিউজিল্যান্ড পেসার জ্যাকব ডাফির বলে আউট ১১৬ রান নিয়ে খেলতে নামা হোপ। ১৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৩৪ বলে ১৪০ রান করেন তিনি। ৭২ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর গ্রেভসের সঙ্গে ৩৮৪ বলে ১৯৬ রানের জুটি গড়েন হোপ।
হোপ ফেরার পর ক্রিজে এসে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি উইকেটরক্ষক টেভিন ইমলাচ। ২৭৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের শঙ্কায় পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সেটি হতে দেননি গ্রেভস ও আট নম্বরে নামা পেস বোলার কেমার রোচ।
রোচের সঙ্গে জুটি বেঁধে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন গ্রেভস। উইকেটে সেট হয়ে রানের চাকা সচল করে ৬ উইকেটে ৩৯৯ রান নিয়ে দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষ করেন গ্রেভস ও রোচ। এতে টেস্টের শেষ সেশনে অন্তত ৩৩ ওভারে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে আরও ১৩২ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
শেষ সেশনেও নিউজিল্যান্ড বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেন গ্রেভস ও রোচ। ইনিংসের ১৬৩তম ওভারের পঞ্চম বলে চার মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম ম্যাচে প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন গ্রেভস। ডাবল-সেঞ্চুরি পাবার পরের ওভারেই ম্যাচ ড্র মেনে নেয় দু’দল। ১৬৩.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৫৭ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টেস্ট ক্রিকেটের চতুর্থ ইনিংসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ১৯৩৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৫৪ রান করেছিল ইংল্যান্ড।
টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ ইনিংসে বিশ্বের সপ্তম ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন গ্রেভস। ১৯টি চারে ৩৮৮ বলে ২০২ রানে অপরাজিত থাকেন গ্রেভস। ৮টি বাউন্ডারিতে ২৩৩ বলে অনবদ্য ৫৮ রান করেন রোচ।
সপ্তম উইকেট জুটিতে ৪১০ বল খেলে ১৮০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন গ্রেভস ও রোচ। টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার ও মনোজ প্রভাকরের রেকর্ড ভাঙেন গ্রেভস ও রোচ। ১৯৯০ সালের ১৬০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন টেন্ডুলকার ও প্রভাকর। দুর্দান্ত ডাবল-সেঞ্চুরির ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন গ্রেভস।