
চেন্নাইয়ে গতকাল সারাদিনই বৃষ্টি হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টি। রাস্তাঘাটে পানি জমে গেছে। কোথাও সাইক্লোন হয়েছিল। সেই রেশ বিশ্বকাপ জুনিয়র (অনূর্ধ্ব-২১) হকিতে আঘাত করলে জাপান-নিউজিল্যান্ড হকি খেলা মাঝপথে থেমে গিয়েছিল। সেটি আবার শুরু হয়। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা হোটেল রুমেই কাটিয়েছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় ছিল টিম মিটিং। কারণ আজ বিশ্বকাপ জুনিয়র হকিতে বাংলাদেশ দল গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে, বিকাল সোয়া ৪টায়। ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েই কোচ আইকম্যানের সঙ্গে খেলোয়াড়দের শলাপরামর্শ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫-৩ গোলে হেরেছিল প্রথম খেলায়, পরশু দ্বিতীয় খেলায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৩-০তে পিছিয়ে থেকে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে। দুই ম্যাচে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। অনেক উন্নতি হয়েছে।

বিশ্বকাপ জুনিয়র হকিতে খেলতে যাওয়ার বাংলাদেশকে নিয়ে এত আশা করেনি। বিশ্বকাপের এত বড় আসরে যেখানে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া, ফ্রান্সের মতো দেশ। তাদের বিপক্ষে উড়ে যাওয়ার ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স বলছে সবার ধারণা বদলে দিয়েছেন সামিন, হোজাইফা, তানভীর সিয়াম, আব্দুল্লাহ, দ্বীন ইসলাম, রাকিবুল হাসান, জয়, ইসমাইল হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, সাদ, হাসান, আমিরুল ইসলামরা।
চারবারের ফাইনাল খেলা সাবেক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া দক্ষিণ কোরিয়া, বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা ফ্রান্সের মতো শক্তিধর দেশগুলো বাংলাদেশের মতো দুর্বল দেশের প্রতিপক্ষ। কোনো আশাই ছিল না বাংলাদেশকে নিয়ে। বাংলার ছেলেরা অস্ট্রেলিয়ার পোস্টে হ্যাটট্রিক করেছেন আমিরুল ইসলাম, কোরিয়ার মতো দেশের বিপক্ষে ৩ গোল হজম করে নিশ্চিত হারের পথে যাওয়া বাংলাদেশ ৩ গোল শোধ করে ম্যাচ ড্র করিয়েছে, হ্যাটট্রিক করেন আমিরুল ইসলাম। সবই যেন অপ্রত্যাশিত।

জাতীয় দলের ম্যানেজার, হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন খেলোয়াড়রা চাপের মুখে খেলতে পারছে, ভুল থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসতে হয়। রক্ষণ ঠিক রেখে কীভাবে আক্রমণে যাবে। সেটাই অস্ট্রেলিয়া ও কোরিয়ার বিপক্ষে গোল আদায় করে দিয়েছে।