
চীনের প্রাচীর যতটা ঐতিহাসিক, ততটাই দুর্ভেদ্য। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে আজ সেই প্রাচীর ভাঙার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশের কিশোর ফুটবলাররা। চীনের চংকিনে আজ বিকাল ৫টা ৩৫ মিনিটে স্বাগতিক চীনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। জিতলেই অনূর্ধ্ব-১৭ স্তরে প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।
দুই দলই এখন পর্যন্ত টানা চার ম্যাচে জিতেছে। সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে চীন। তাই আজকের ম্যাচটি আসলে এক অর্থে ফাইনাল। জিতলে মূলপর্ব নিশ্চিত। ড্র হলে চীন যাবে সৌদি আরবে।

প্রথম তিন ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য ছিল বাংলাদেশ। পূর্ব তিমুরকে ৫-০, ব্রুনেইকে ৮-০ এবং শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়ে দাপট দেখায় গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। এরপর চতুর্থ ম্যাচে বাহরাইনকে ২-১ গোলে হারিয়ে নিজেদের নতুন ইতিহাসের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে তারা। আগামী বছর মে মাসে সৌদি আরবে বসবে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ। মোট ১৬টি দল অংশ নেবে সেখানে। স্বাগতিক সৌদি আরব ছাড়া ইতিমধ্যে ৯টি দল জায়গা নিশ্চিত করেছে। আজ চীনকে হারাতে পারলে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ।
প্রতিটি ম্যাচে ধারাবাহিকতার পাশাপাশি শৃঙ্খলাও দেখিয়েছে বাংলাদেশের ছেলেরা। রক্ষণে কামাল, মাঝমাঠে সাব্বির ও রিফাত কাজী, আক্রমণে মানিক-বায়েজিদ। সবাই এখন একসঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলছেন। চার ম্যাচে বাংলাদেশ যে ঐক্য দেখিয়েছে, সেটিই আজ তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ৩৬ গোল করেছে চীন। হজম করেছে মাত্র ১টি। নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। নিজেদের মাঠে গ্যালারির সমর্থন তাদের পক্ষেই। তবে ফুটবল যেমন অনিশ্চয়তার খেলা, তেমনি বিশ্বাসেরও লড়াই। বাংলাদেশ যদি সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামে, তাহলে চীনের প্রাচীর ভাঙাও অসম্ভব নয়।
এর আগে অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৭ স্তরে ছয়বার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেললেও কখনোই গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু এবারের দলটা আলাদা। তাদের চোখে জয়ের স্বপ্ন আছে। আজ সেই স্বপ্ন পূরণের লড়াই। চীনের মাঠে, চীনের দর্শকের সামনে জিততে পারলে এটা হবে বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন ইতিহাস।