
বাংলাদেশের করপোরেট অঙ্গনের ২৪ জন শীর্ষস্থানীয় নির্বাহীকে সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে শনিবার রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ সি-সুইট অ্যাওয়ার্ডসের চতুর্থ অধিবেশন।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির পরিবেশনায়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড গ্রুপের প্রযোজনায় এবং টুয়েলভ ক্লোদিংয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এই ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগটি আয়োজন করে। এই বছর ২৩টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হয়। আয়োজনটিতে অংশ নেন দেশের শীর্ষ সি-সুইট নির্বাহী, ব্যাবসায়িক প্রতিনিধি, উদ্যোক্তা এবং আর্থিক ও বিনিয়োগ খাতের বিশেষজ্ঞরা।
অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘একটি দেশের শক্তি নির্ভর করে তার নেতৃত্বের মানের ওপর। বাংলাদেশের প্রয়োজন এমন নেতৃত্ব, যা ব্যাবসায়িক প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বে বৃহত্তর দায়িত্বকে অনুধাবন করে উদ্দেশ্যনিষ্ঠভাবে কাজ করবে এবং সততা ধরে রেখে প্রতিষ্ঠান ও দেশের উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দিতে পারবে। সি-সুইট অ্যাওয়ার্ড শুধু সম্মাননা নয়, এটি করপোরেট নেতৃত্বের মানোন্নয়নের জন্য একটি প্রয়োজনীয় আহ্বান।’
এই বছর সম্মাননাটির জন্য ৫১টি প্রতিষ্ঠান হতে ১০২টি মনোনয়ন জমা পড়ে। একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও উচ্চ মানসম্পন্ন মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে একটি কঠোর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ীদের বাছাই করা হয়েছে। বাছাই প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছে একটি বিশেষায়িত কাউন্সিল বোর্ড। কাউন্সিল বোর্ডে সদস্য হিসেবে ছিলেন দেশের ব্যাবসায়িক খাতের অভিজ্ঞ ও স্বনামধন্য পেশাজীবীরা। তারা হলেন ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বাংলাদেশ পিএলসি, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ বিন তাজ, স্কুল অব বিজনেস, ইউল্যাবের প্রফেসর ইমরান রহমান, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসাডর মোহাম্মদ নাকিব উদ্দিন খান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. এ কে এনায়েতুল হক এবং সিইও ও লিড কনসালট্যান্ট এম. জুলফিকার হুসেইন।
দিনের শুরুতে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় নবম লিডারশিপ সামিট, প্রতিপাদ্য ছিল ‘রেজিলিয়েন্ট লিডারশিপ থ্রাইভিং অ্যামিড আনসার্টেনটি’। দেশের শীর্ষ সি-সুইট নির্বাহী, ব্যাবসায়িক পেশাজীবী, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যাবসায়িক শিক্ষাবিদ ও বিনিয়োগ ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞরা এই আয়োজনে আলোচক হিসেবে অংশ নেন।
দিনব্যাপী সামিটের আলোচনাগুলো অনুষ্ঠিত হয় তিনটি কি-নোট সেশন, তিনটি প্যানেল ডিসকাশন এবং একটি ইনসাইট সেশনের সমন্বয়ে। কি-নোট আলোচনায় অধ্যাপক এ কে এনামুল হক টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক ও আর্থিক ভিত্তি নিয়ে বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।