
সেনেগালকে হারানোর পর তিউনিসিয়ার বিপক্ষেও জয়ের সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি মিস ও সমন্বয়ের অভাবে জয় হাতছাড়া করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।
ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের লিলের ডেকাথলন স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ব্রাজিলের হাতেই। তবে এলোমেলো রক্ষণ ও পাসিংয়ের ভুলে ২৩ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে গোল খেয়ে বসে সেলেসাওরা। তিউনিসিয়ার হয়ে গোল করেন হাজেম মাসতৌরি। সমতায় ব্রাজিল ফিরেছে প্রথমার্ধের শেষেই। ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতাসূচক গোল করেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড এস্তেভাও।
প্রথমার্ধ ১-১ গোলের সমতায় শেষের পর ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল ব্রাজিলের কাছে। তবে ৭৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন লুকাস পাকেতা। এই গোল করলে ব্রাজিলের জয়ের সমূহ সম্ভাবনা হতো। কিন্তু পাকেতার এই মিসই যে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, ম্যাচ শেষে তো সেটা স্পষ্ট। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনো দলই আর গোল করতে না পারায় ১-১ ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে উভয় দল।
আগামী জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় বসছে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। বড় টুর্নামেন্টের আগে এই ড্র ফল হলেও উদ্বেগ নেই ব্রাজিল কোচের মনে। ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি বলেন— ‘বিশ্বকাপে সেরা অবস্থায় পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য। দল ঠিক পথেই আছে। সেনেগালের বিপক্ষে ভালো খেলেছি। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা কঠিন ছিল।’
তিউনিসিয়ার জমাট রক্ষণের কথাও স্বীকার করেন তিনি। ‘ওদের ব্লক ভাঙা কঠিন। আক্রমণে আমরা ভালো সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।’
ম্যাচে ব্রাজিলের জন্য আরও দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে মিলিতাওয়ের ইনজুরি। লিগামেন্টের পুরনো চোট নিয়েই ম্যাচ শুরু করা এই ডিফেন্ডার ৬০ মিনিটে অস্বস্তি অনুভব করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
বিশ্বকাপের আগে আর কোনো ম্যাচ নেই ব্রাজিলের। বাছাইপর্বে ১৮ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সেলেসাওরা শেষ করেছে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে।