
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মূলপর্বে খেলার সম্ভাবনা শেষ হলেও দুই দলের দ্বৈরথ নিয়ে উত্তেজনা একটুও কমেনি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই আবেগ, লড়াই, কৌশল আর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
সেই ধারাবাহিকতাই আবার দেখা যাবে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় স্টেডিয়ামে—এমনটাই মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। গত মার্চে শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।
ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জামাল। তিনি বলেন, “এটা আবেগময় ম্যাচ, হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তাহলে এটা শুধু দলের নয়—সমর্থক ও সবার জন্যই ইতিবাচক হবে।”
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে সবসময়ই বাড়তি আগ্রহ থাকে। মাঠেও প্রতিযোগিতা যেমন তীব্র, তেমনি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে খেলোয়াড়দের আচরণেও। সে কারণেই জামাল আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করলেন, “কালকের ম্যাচে অনেক ফ্রি-কিক, হলুদ কার্ড আর গালাগালি হবে। যদিও আমি এটাকে স্বাভাবিক ম্যাচ হিসেবেই নেব।”
বাংলাদেশ শেষবার ভারতকে হারিয়েছিল ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে—২২ বছর আগে। ঢাকায় ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছিল তারা। এবার সেই খরা কাটানোর সুযোগ রয়েছে—বিশ্বাস করেন জামাল। তিনি বলেন, ‘এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই ভারতকে হারানোর সুযোগ অবশ্যই আছে।’
বাড়তি চাপ থাকলেও সেটা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ জামাল, ‘চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। সকালে আমি যখন আমি নাস্তা করতে যাই, লিফটের ভেতরে আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট কোচকে পেলাম। তো উনি আমাকে একই প্রশ্ন করেন। আমি বলেছি, চাপ সব সময় থাকে। তবে এটা সামলানোই আমার কাজ। পরে তিনি জানান,তিনিও ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে থাকবেন। তাই ক্রিকেটের দিকটা যদি দেখেন, তারাও রোমাঞ্চিত।’
সাম্প্রতিক সময়ে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করার বাজে অভ্যাস পেয়ে বসেছে বাংলাদেশকে। রক্ষণভাগের ভুলে বারবার এমনটা ঘটছে, মেনে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘রক্ষণে অবশ্যই আমাদের সমস্যা আছে । তবে ভারত যদি অনেক উপরে উঠে খেলে, তাহলে আমরা সামনে অনেক স্পেস পাব।’