
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন।
দুটি পৃথক অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরেকটি অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থান–সংক্রান্ত মামলাগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম রায়।
ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার সামনে বেশ কিছু আইনি ধাপ খোলা রয়েছে। তবে এসব প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে তাকে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩–এর অধীনেই পরবর্তী ধাপগুলো পরিচালিত হবে।
শেখ হাসিনার আইনজীবীরা সরাসরি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আপিলে আইনগত ত্রুটি, প্রমাণ ব্যবহারে অসঙ্গতি বা বিচার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিষয়গুলো উত্থাপন করা যাবে। আপিল বিভাগ শুনানির মাধ্যমে রায় বহাল, সংশোধন বা বাতিল—সবকিছুই করতে পারেন।
আপিল বিভাগের রায়ের পর আসামিপক্ষ রিভিউ আবেদন করতে পারবে। রিভিউতে নতুন প্রমাণ, গুরুতর আইনি ভুল বা ন্যায়বিচারে বিঘ্ন ঘটার অভিযোগ তুলে ধরা সম্ভব। বিচারপতিরা রিভিউ আবেদনে পূর্বের রায় বহাল, সংশোধন বা পুনঃশুনানির নির্দেশ দিতে পারেন। এটিই বিচারিক প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপ।
চূড়ান্ত রায়ের পরও শেখ হাসিনার সামনে রয়েছে আরও একটি সুযোগ—রাষ্ট্রপতির ক্ষমা। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ, হ্রাস বা স্থগিত করার ক্ষমতা রাখেন।
সুত্র: ডেইলি স্টার