Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

ইসিকে দৃঢ় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ থাকার পরামর্শ দলগুলোর

ইসিকে দৃঢ় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ থাকার পরামর্শ দলগুলোর ইসিকে দৃঢ় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ থাকার পরামর্শ দলগুলোর
ইসিকে দৃঢ় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ থাকার পরামর্শ দলগুলোর


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান উদ্বেগ ‘অদৃশ্য শক্তির’ প্রভাব। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলো এবার বলেছে, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে ভোটের মাঠে এ ধরনের প্রভাব ও চাপ সম্পূর্ণভাবে ঠেকাতে হবে। আর সে দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি ইসিরই। তাদের হতে হবে দৃঢ়, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় দিনের সংলাপে অংশ নিয়ে দলগুলোর প্রতিনিধিরা বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে, প্রশাসন, প্রভাবশালী গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অঘোষিত প্রভাবই ভোটের পরিবেশকে সবচেয়ে বেশি নষ্ট করে। এবার সেই সুযোগ যেন কেউ না পায়, সে জন্য ইসিকে শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পষ্টত জানিয়েছে, যারা পেশিশক্তি দেখাবে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এটাই ইসির বার্তা। এ ব্যাপারে কোনো ব্যত্যয় হবে না।

এছাড়াও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো গণভোটের পদ্ধতি এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জাতীয় নির্বাচনের চাপ গণভোটকে গুরুত্বহীন করতে পারে বলে মনে করে তারা। এছাড়া, সংলাপে সিসিটিভি ব্যবহার, নির্বাচনে কালোটাকার প্রভাব, নিরাপত্তা, আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করা, জামানত ও নির্বাচনি ব্যয়সহ বিভিন্ন প্রস্তাবও উঠে আসে। নির্বাচন ভবনে দুই ধাপে এই সংলাপে ১২টি দল অংশ নেয়। সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার, ইসি সচিব এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  সংলাপে অংশ নিয়ে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রধান কাদের সিদ্দিকী বলেন, গণভোটে চারটি প্রশ্ন—মানুষ কি দুটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’, দুটি প্রশ্নে ‘না’ দিতে পারবে? জনগণ জানে না। গণভোট অংশগ্রহণ কম হলে নির্বাচনই হুমকির মুখে পড়বে। জাতীয় পার্টিকে ব্যান করার কথা শুনছি। বাম দলকেও বাদ দিলে চলবে না। নিবন্ধিত দল হলেও অধ্যাপক ইউনূসের সরকার আমাদের একবারও ডাকেনি। আপনাদের ডাকায় আমি খুশি। আমি কাউকে শত্রু মনে করি না, শেখ হাসিনাকেও নয়। আল্লাহ অসন্তুষ্ট হলে আল্লাহই শাসকের গদি সরিয়ে দেন। আমার বোন শেখ হাসিনা আল্লাহর গজবের কারণেই ক্ষমতা হারিয়েছে।

Advertisement

গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, গণভোটে চারটি সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয় রয়েছে, সরকার এটাকে প্যাকেজ করে ফেলেছে। চারটির মধ্যে আমি দুটিতে ‘হাঁ’ দেব, দুটিতে ‘না’ দেব—সেই বিকল্প রাখা হয়নি। এতে গণভোট অকার্যকর হয়ে যাবে। গণভোট যেন হাস্যকর বিষয়ে পরিণত না হয়, এই বিষয়ে আপনাদের শক্ত থাকতে হবে। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ইসি ভালো সিদ্ধান্ত নিলেও হাইকোর্ট ইন্টারফেয়ার করেছে দাবি করে তিনি বলেন, একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ না করে—তাহলে আপনাদের তো কাজ করার সুযোগই থাকবে না। এছাড়া, দলটির লিখিত প্রস্তাবে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা রাখা, জোটের ভোটে পছন্দের প্রতীক বহাল রাখা, জামানত কমানোর কথা বলা হয়েছে।

গণফ্রন্টের মহাসচিব আহমদ আলী শেখ বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য ইসির সক্ষমতা যা দরকার তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এ দলের আরেক প্রতিনিধি বলেন, ইসি শক্তিশালী না হলে, নিয়ন্ত্রণমূলক স্বৈরাচারী শক্তি মাথাচাড়া দেবে। এবার সময় এসেছে, গণতান্ত্রিক আস্থা পুনরুদ্ধার করার।

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ এন এম সিরাজুল ইসলাম নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে বিভাগওয়ারি ভোট নেওয়া, জামানত কমানো, ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখার সুপারিশ করেন। জোট করলেও স্ব-স্ব দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান চালু করায় দলটির মহাসচিব জাফর আহমেদ জয় ইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শঙ্কিত যে, জারি করা বিধিমালা রাখতে পারবেন কি না। আশা করি, অতীতের শিক্ষা থেকে কারো কাছে নতজানু হবেন না।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, সারা দেশে একই দিনে নির্বাচন না করে চার ধাপে আয়োজন করার দাবি করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব শাহ মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের মানুষ হতাশ হবে। তাই কমিশনকে নির্বাচন বিতর্কিত করার যে কোনো অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনের আগে যৌথ বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার অভিযান, সন্ত্রাসী গ্রেফতার এবং সিসিটিভি ব্যবহারের উদ্যোগ জরুরি। তার অভিযোগ, ফ্যাসিবাদী শক্তি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে—এটা নজরে রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, গণভোট আগে হলে গুরুত্ব বেশি পেত। জাতীয় নির্বাচনের চাপে গুরুত্ব কমে না যায়—সেজন্য ভোটারদের উত্সাহিত করতে ইসিকে কাজ করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, একই দিনে নির্বাচন হলে গণভোটের গুরুত্ব থাকবে না। অনেক কেন্দ্রে গন্ডগোল-ঝামেলা হবে। আপনারা বলছেন, ঝামেলা হলে ভোটকেন্দ্রে বন্ধ করবেন, তাহলে গণভোটের কী হবে? যাই হোক সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপনারা এটি প্রচার নিয়ে কাজ করেন। জোটের ভোটেও নিজ প্রতীকের বিষয়টি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, যারা পেশিশক্তি দেখাবে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এটাই ইসির বার্তা। এ ব্যাপারে কোনো ব্যত্যয় হবে না। অপপ্রচার ছড়ালে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কর্মকর্তারা পক্ষাপাতদুষ্ট হলে সে বা তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ তিনটি বার্তা ইসির।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আমরা নতজানু হব না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করার দরকার করছি, ভালো নির্বাচন করার বিকল্প রাস্তা নেই। পোলিং এজেন্ট নিয়োগের বিষয়ে ভোটের আগের দিন চূড়ান্ত না করে আগে আগেই তালিকা করে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, অনেকে মনে করেন আমরা তার পক্ষে কাজ করলে আমরা নিরপেক্ষ। কিন্তু আমরা কারো পক্ষে কাজ করতে পারব না। আমাদের বিবেক দেশের প্রচলিত আইন বিধিবিধান যা বলে সেট মেনেই আমরা চলব, ইনশাল্লাহ। তিনি এ উদ্দেশ্য সাধনে সব রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতা কমনা করেন।





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
শেখ হাসিনার মামলার রায় আজ

শেখ হাসিনার মামলার রায় আজ

Next Post
মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ, শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে সারা দেশ

মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ, শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে সারা দেশ

Advertisement