
গেল সেপ্টেম্বরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) তরফ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। যেখানে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলে অনিয়মের আশঙ্কা করেছে এনএসসি এবং বোর্ডকে এই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে।
এনএসসির চিঠির প্রতিক্রিয়া হিসেবে গতকাল এক বিবৃতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিবৃতিতে বিসিবির তরফ থেকে জানানো হয়, এনএসসির অভিযোগগুলোর বিস্তারিত পর্যালোচনা করেও কোনো ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিসিবি জানিয়েছে, চিঠিটি এমন সময়ে পাওয়া যায় যখন বোর্ড সাধারণ পরিষদ গঠন ও নতুন পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত ছিল। সে সময় অধিকাংশ বিভাগ নির্বাচন-সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করায় দৈনন্দিন কার্যক্রম সীমিত ছিল। সাধারণ পরিষদ গঠন, পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন ও কমিটির সভাপতি নিয়োগের পর সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচন-সংক্রান্ত সব নথিপত্র খতিয়ে দেখে বিসিবি। পর্যালোচনায় অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের স্কোয়াড বাছাইয়ে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করে বোর্ড।
এছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অলরাউন্ডার রিয়া আক্তার শিখা কর্তৃক এনএসসিকে পাঠানো চিঠির অতিরিক্ত বিষয় এবং সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলমের সাক্ষাৎকারে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিসিবি জানায়, স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও জবাবদিহিতার প্রতি বোর্ড সদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।