
সিলেট টেস্টে ব্যাটে-বলে দাপুটে দিন পার করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে আইরিশদের করা ২৮৬ রানের জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৮৭ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। এতে ৩০১ রানের বড় লিড পায় টাইগাররা। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। এতে চতুর্থ দিনেই বড় জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ।
৩০১ রানের পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। দলীয় ১৪ রানে ৮ বলে ৫ রান করা কারমাইকেলকে সাজঘরে পাঠান নাহিদ রানা।
এরপর হ্যারি টেক্টর ও পল স্টার্লিং মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়। ৪৭ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৬১ রানে ৫৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন স্টার্লিং। এরপর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। টেক্টর ১৮, কার্টিস ক্যাম্ফার ৫ ও লোরকান টাকার ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
শেষ পর্যন্ত তৃতীয় দিনে শেষে ২৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান সংগ্রহ করেছে আয়ারল্যান্ড। এখনও ২১৫ রানে পিছিয়ে আছে তারা। বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ ২টি ও নাহিদ রানা ও তাইজুল ইসলাম নেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জোড়া সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৮৭ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ২৮৬ বলে ১৭১ রান করেছেন তিনি। ১৪ চার ও ৪ ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই টাইগার ওপেনার। আরেক ওপেনার সাদমান করেছেন ১০৪ বলে ৮০ রান।
এ ছাড়া তিনে নামা মুমিনুল হকও দেখা পেয়েছেন ফিফটির। ১৩২ বলে ৮২ রান করে থেমেছেন তিনি। চারে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দেখা পেয়েছেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি। ১১৪ বলে ১০০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই টাইগার অধিনায়ক।
পাঁচে নামা মুশফিকুর রহিম ফিরে যান মাত্র ২৩ রান করে। তবে এরপর ফিফটি পেয়েছেন লিটন দাস। প্রসঙ্গত, চলমান টেস্টেই প্রথমবারের মতো সিলেটে পাঁচশো ছাড়ানো সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ। এর আগে এই মাঠে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৩৩৮ রান।