
ইরাকের ৪৬ মিলিয়ন মানুষ নতুন সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে নিবিড়ভাবে নজর রাখছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর এখন চলছে গণনা।
ইরানের নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবারের নির্বাচনে ১ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৭ জন নাগরিক ভোট দিয়েছেন। এর আগে রোববার একটি বিশেষ ভোটদানের মাধ্যমে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ২৮৯ জন সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মীও ভোট দিয়েছেন।
দেশটিতে মোট ২ কোটি ১৪ লাখ ৪ হাজার ২৯১ জন যোগ্য ভোটার রয়েছেন। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সার্বিক ভোটার উপস্থিতি ৫৫ শতাংশেরও বেশি হয়েছে।
গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং কোনো বর্ধিত সময় ছাড়াই স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হয়।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি জানিয়েছেন, তার সরকার সফলভাবে সংসদীয় নির্বাচন আয়োজন করেছে।
আল-সুদানি এক্স-পোস্টে বলেছেন, ‘আবারও আমাদের সাহসী ইরাকি জনগণ… বৃহত্তর স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে।’
তিনি এই নির্বাচনকে একটি ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একত্রীকরণ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। আল-সুদানি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘সরকার তার নির্বাহী কর্মসূচিতে বর্ণিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে একটি পূরণ করেছে।’
নির্বাচনে মোট ৭ হাজার ৭৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যার মধ্যে ২ হাজার ২৪৭ জন নারী।
বর্তমান সংসদীয় মেয়াদ ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি শুরু হয় এবং চার বছর স্থায়ী হয়। ইরাকি আইন অনুসারে, বর্তমান আইনসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৪৫ দিন আগে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান আইনসভায় শিয়া দল এবং জোটগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ইরাকের ক্ষমতা ঐতিহ্যগতভাবে দেশের প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভক্ত: প্রেসিডেন্ট পদ কুর্দিদের হাতে, প্রধানমন্ত্রী পদ শিয়াদের হাতে এবং সংসদের স্পিকারের পদ সুন্নিদের হাতে।